ফাইল চিত্র।
ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করলেন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী।
বুধবার রামপুরহাট ১ ব্লকের অধীন রামপুরহাট থানার বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতে ‘আপনার থানা আপনার পাড়ায়’ কর্মসূচির উদ্বোধনে এসে জেলা পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী দুয়ারে সরকার, দুয়ারে ত্রাণ, দুয়ারে রেশন কর্মসূচি চালু করেছেন। ওই কর্মসূচিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর মানুষের কাছে যাচ্ছেন। আপনার থানা আপনার পাড়ায় কর্মসূচিতে মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কথা জানতে পুলিশ মানুষের কাছে যাবে এবং তাদের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবে।’’
জেলা পুলিশ সুপারের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশংসা অবশ্য নতুন নয়। সাম্প্রতিক একাধিক কর্মসূচিতেই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গিয়েছে। ভোটপর্বে অবশ্য এই নগেন্দ্রনাথই নন্দীগ্রামে পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী ক্ষেত্র, নন্দীগ্রাম বিধানসভার বয়ালে ভোট পরিচালনা নিয়ে তৃণমূলের নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ‘উর্দিতে দাগ লাগতে দেব না’ বলে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকে অবশ্য বীরভূম পুলিশের নানা অনুষ্ঠানে তিনি বারবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে চলেছেন। এ দিন রামপুরহাটেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
পুলিশ সুপার এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী একটা ভাল কথা বলেন। সেটা হল পুলিশ প্রশাসনকে মানবিক হতে হবে। আমরা ২০১১ সাল থেকে এই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ২০১১ সালে যখন থেকে এই সরকার গঠন হয়েছে তখন থেকে আমরা আরও বেশি এগিয়ে চলেছি।’’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, পুলিশ ২০১১ সালের আগেও কাজ করত। কিন্তু ২০১১ সালের পর থেকে পুলিশ আরও বেশি সামাজিক সচেতনতামূলক কাজে এগিয়ে গিয়েছে।
তাঁর উপলব্ধি ‘‘আগে পুলিশ আইন শৃঙ্খলা সমস্যার সমাধান করত, এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজ করত। বর্তমানে পুলিশ দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে কোচিং দিচ্ছে, রক্তদান শিবির করছে, সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফ প্রোগ্রামের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করছে।’’ এর জন্য অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা আছে বলে দাবি করেন পুলিশ সুপার।
এদিনের অনুষ্ঠানে এলাকার বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সহ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক সরকার, রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সায়ন আহমেদ-সহ জেলা পুলিশের অন্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।