Crime

সোনার গয়না, কাঁসার বাসন চকচকে করে দেওয়ার নামে প্রতারণা! ধৃত ভিন্‌রাজ্যের দুই ‘পান্ডা’

পুলিশ জানিয়েছে, বাঁকুড়া জেলার একটি বিশেষ নাকা পয়েন্টে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে দু’জনকে আটক করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩ ১৮:২০
Share:

ধৃতদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শাটার ও বেশ কিছু তাজা কার্তুজ-সহ প্যাকেটবন্দি রাসায়নিক-সহ সন্দেহজনক সামগ্রী মিলেছে বলে জানিয়েছে বাঁকুড়া পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

সোনা, রুপোর গয়না বা কাঁসার বাসন পরিষ্কার চকচকে করে দেওয়ার নামে তা হাতিয়ে নিত দৃষ্কৃতীরা। সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলা জুড়ে এমনই প্রতারণার অভিযোগ উঠছিল। পুলিশের দাবি, ওই অভিযোগগুলির তদন্তে নেমে ভিন্‌রাজ্যের প্রতারণা চক্রের দুই পান্ডাকে গ্রেফতার করেছে তারা। অভিযুক্তদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ কার্তুজও উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম রোহিতকুমার শ এবং মিথিলেশকুমার শ। দু’জনেই বিহারের পূর্ণিয়া জেলার বাসিন্দা। তাঁদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, বেশ কয়েকটি তাজা কার্তুজ এবং রাসায়নিক-সহ বেশ কিছু সন্দেহজনক সামগ্রী উদ্ধার করেছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ।

বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সোনা ও রুপোর গহনা, কাঁসার বাসন চকচকে করে দেওয়ার নাম করে সেগুলি কৌশলে হাতিয়ে চম্পট দিচ্ছে এক দল দুষ্কৃতী। সম্প্রতি এ ধরনের একাধিক অভিযোগ উঠতেই নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ।

Advertisement

তদন্তে নেমে দুষ্কৃতীদের চেহারার বর্ণনা নিয়ে তাঁদের খোঁজে নামেন পুলিশ আধিকারিকেরা। সতর্ক করা হয় জেলার নাকা পয়েন্টগুলিকে। তাতেই সাফল্য মেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, বাঁকুড়া জেলার একটি বিশেষ নাকা পয়েন্টে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে রোহিত এবং মিথিলেশকে আটক করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি ওয়ান শটার ও বেশ কিছু তাজা কার্তুজ। ওই দু’জনের কাছে থাকা বেশ কিছু প্যাকেটবন্দি রাসায়নিক-সহ সন্দেহজনক সামগ্রীও মেলে। এর পর ধৃত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, দু’জনেরই বাড়ি বিহারের পূর্ণিয়া জেলায়। তবে রোহিত সম্প্রতি বেশ কিছু দিন ধরে পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ায় বসবাস করছিলেন।

বাঁকুড়ার খাতড়া মহকুমার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রির দাবি, ‘‘ধৃতদের লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করার পর নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেন তাঁরা। এই চক্রটি মূলত গ্রামের বয়স্ক মহিলা ও একাকী বধূদের টার্গেট করত। নিজেদের একটি সংস্থার প্রতিনিধি দাবি করে প্রথমে তাঁরা কাঁসার বাসন চকচকে করে দেওয়ার নমুনা দেখাতেন। পরে গ্রামের মহিলাদের গহনা চকচকে করে দেওয়ার নাম করে তা কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিতেন। আমরা শুধু এই চক্রের দু’জনকে ধরেছি তাই নয়, জেলার মানুষকে এই ধরনের প্রতারণা সম্পর্কে সচেতন করে তোলার কাজও শুরু করেছি।”

এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন