Durgapur Rape Case

দুর্গাপুর: ২০ দিনে চার্জশিট কেন? প্রশ্ন ধৃত সহপাঠীর আইনজীবীর, চাইলেন ধর্ষিতার সঙ্গে মক্কেলের ‘চ্যাটে’ কথোপকথনের তথ্যও

পুলিশ চার্জশিট জমা দেওয়ার পরেই গণধর্ষণের মামলাটি দুর্গাপুর মহকুমা আদালত থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে স্থানান্তরিত হয়েছে। সোমবার শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরেই সহপাঠীর আইনজীবী শেখর কুন্ডু প্রশ্ন তোলেন, কেন চার্জশিট দেওয়া নিয়ে এত তাড়াহুড়ো করা হল? তাঁর মন্তব্য, ‘‘তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা নয় তো?’’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:১৯
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে মাত্র ২০ দিনে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। সোমবার বিচারপ্রক্রিয়ার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নির্যাতিতা ডাক্তারি ছাত্রীর ধৃত সহপাঠীর আইনজীবী। পাশাপাশি ওই ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর সহপাঠীর ‘চ্যাটে’ কথোপকথনের তথ্যও চাইলেন তিনি।

Advertisement

পুলিশ চার্জশিট জমা দেওয়ার পরেই গণধর্ষণের মামলাটি দুর্গাপুর মহকুমা আদালত থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে স্থানান্তরিত হয়েছে। সোমবার শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরেই সহপাঠীর আইনজীবী শেখর কুন্ডু প্রশ্ন তোলেন, কেন চার্জশিট দেওয়া নিয়ে এত তাড়াহুড়ো করা হল? তাঁর মন্তব্য, ‘‘তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা নয় তো?’’

ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই নির্যাতিতার সহপাঠীকে ‘আটক’ করেছিল পুলিশ। সেই সময়কার থানার সিসিটিভি ফুটেজও দাবি করেছেন শেখর। টিআই প্যারেড প্রক্রিয়ার ফুটেজ চেয়েছেন তিনি। শেখর বলেন, ‘‘ইলেক্ট্রনিক তথ্যপ্রমাণ যা দেওয়া হয়েছে, তাতে বেশ কিছু অংশ নেই। পূর্ণাঙ্গ অংশ দিতে হবে।’’ ভিন্‌রাজ্যের একের পর এক মামলার উদাহরণ দেখিয়ে এই সব নথি আদালতের কাছে চান শেখর। ঘটনার আগে ‘নির্যাতিতা’ এবং তাঁর সহপাঠীর মধ্যে ফোনে এবং চ্যাটে কী কথোপকথন হয়েছে, সেই তথ্যও পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে চেয়েছেন শেখর। তিনি বলেন, ‘‘মিডিয়া ও রাজনৈতিক চাপেই পুলিশ তড়িঘড়ি করে চার্জশিট পেশ করেছে।’’

Advertisement

পাল্টা সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভিন্ন দুটো মামলার রায় অনুযায়ী যা যা দিতে বলা হয়েছে, আমরা তা দিয়েছি। অভিযুক্তের আইনজীবী কোন ধারায় আবেদন করেছেন, তার উল্লেখ নেই। সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়া হয়েছে। টিআই প্যারেডের রেকর্ডিং আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাই করা হয়নি। হার্ড কপি দেওয়া হয়েছে।’’

সরকারি আইনজীবী আরও বলেন, ‘‘মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন টেলিকম সংস্থা দিয়েছে। তা দেওয়া হয়েছে। আজ যারা অপরাধ করে, তারা অনেকেই আইটি বিশেষজ্ঞ। তারা এক্সপোর্ট চ্যাট অফ করে চ্যাট করে। তাই ইন্টারনেট কানেকশন অন করেও ডিলিটেড চ্যাট প্রথমে পাওয়া যায়নি। পরে বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে তা পাওয়া যায়। তা-ও চার্জশিটে আছে। দুর্গাপুর, নিউটাউনশিপ ও বিজন ফাঁড়ির সিসিটিভি আমাদের তদন্তে বিশ্বাসযোগ্য মনে করছি না।’’ বিভাস জানান, চার্জশিট এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। চার্জশিট জমা দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে অতিরিক্ত চার্জশিট দেওয়া যায়। বেশ কিছু নথির জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছেন।

আদালত অভিযুক্তদের ফের এক দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। বিচারক জানান, অভিযুক্তদের আইনজীবী না পাওয়া পর্যন্ত জেলা আইনি সহায়তার মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধিত্ব করা হবে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন মঙ্গলবার ঠিক হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement