ডোনাল্ড ট্রাম্প। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বার সে দেশে আশ্রয়প্রার্থী শরণার্থীর সর্বোচ্চ সংখ্যা বেঁধে দিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ২০২৬ অর্থবছরের জন্য শরণার্থী গ্রহণের সর্বোচ্চ সীমা ৭৫০০ নির্ধারণ করেছেন।
আমেরিকার ইতিহাসে শরণার্থীদের আশ্রয়দানের ক্ষেত্রে নির্ধারিত এই বার্ষিক সীমা সর্বনিম্ন। প্রসঙ্গত, গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারপর্বেই রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প অভিবাসন এবং শরণার্থী নীতি সংস্কারের বার্তা দিয়েছিলেন। গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউসে প্রবেশের পরেই অবৈধ অভিবাসী এবং শরণার্থী বিতাড়নের কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই স্বৈরাচারী নীতির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রদেশে ‘নো কিংস’ আন্দোলন শুরু হয়েছে। যা দমন করতে তলব করতে হয়েছে সেনাবাহিনীকে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বার্ষিক শরণার্থী গ্রহণ নীতি নির্ধারণের সময় ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, শরণার্থী হিসেবে গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ জাতিগত সংখ্যালঘুদের। তিনি অভিযোগ করেন, কৃষ্ণাঙ্গ সংখ্যাগরিষ্ঠ ওই দেশে শ্বেতাঙ্গরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন! এর পরে ১৩৮ জন দক্ষিণ আফ্রিকান শ্বেতাঙ্গকে আমেরিকার আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্পের নতুন শরণার্থী নীতির ফলে এশিয়া এবং আফ্রিকার গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশগুলির অশ্বেতাঙ্গ শরণার্থীদের জন্য ওয়াশিংটনের ‘দরজা’ কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।