Iran-Pakistan Agreement

ইরানের সঙ্গে বোঝাপড়া বৃদ্ধি করতে চায় পাকিস্তান, লক্ষ্যমাত্রা বছরে ৮০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য

দু’দিনের সরকারি সফরে পাকিস্তানে গিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ান। তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন ইরানের বাণিজ্যমন্ত্রীও। রবিবার ইসলামাবাদে একাধিক বাণিজ্যিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইরান এবং পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৫ ১৬:৩৪
Share:

(বাঁ দিকে) ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ (ডান দিকে)। ছবি: রয়টার্স।

ইরানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধি করতে চায় পাকিস্তান। আর এই বোঝাপড়ায় অর্থনীতিই সেতুবন্ধনের কাজ করুক, এমনটাই চায় দুই দেশ। সেই কারণে দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর মধ্যে বাণিজ্যিক বিষয়ে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হল। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বছরে ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা)-এ নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য।

Advertisement

দু’দিনের সরকারি সফরে পাকিস্তানে গিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ান। তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন ইরানের বাণিজ্যমন্ত্রীও। রবিবার ইসলামাবাদে একাধিক বাণিজ্যিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল জানান, আগামী বছরেই তেহরানের সঙ্গে ইসলামাবাদের বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০০ থেকে ৮০০ কোটি ডলারে পৌঁছোবে। সে ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে খুব বেশি দেরি হবে না বলে আশাবাদী তিনি।

দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ স্থলসীমান্ত থাকায় পারস্পরিক বাণিজ্যে সময় এবং অর্থ দুই-ই বাঁচবে বলে জানান পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী। ইরানের বাণিজ্য এবং খনি বিষয়ক মন্ত্রী মহম্মদ আটবক জানান, দুই দেশের ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিরাই একে অপরকে বিশ্বাস করেন। সুতরাং অর্থনৈতিক বোঝাপড়ার পরিধি বিস্তারে বিষয়টি সহায়ক হবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

পাকিস্তানের পড়শি দেশ হলেও ইরানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বেশ মসৃণ। চাবাহার বন্দর-সহ ইরানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে বিনিয়োগ রয়েছে ভারতের। চলতি বছরেই ভারত-ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক ৭৫ বছরে পা দিয়েছে। ১৯৫০ সালে স্বাক্ষরিত ‘ভারত-ইরান মৈত্রী চুক্তি’ দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছিল। তবে সাম্প্রতিক ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাতে ভারত খানিক মধ্যপন্থা অবলম্বন করে। কূটনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, সেই সময় সোচ্চারে ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চটাতে চায়নি ভারত। অবশ্য জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতেই ‘ব্রিক্‌স’ সম্মেলনে ইরানে হামলার নিন্দা করা হয়। তবে যৌথ বিবৃতিতে ইজ়রায়েল বা আমেরিকার নামোল্লেখ করা হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement