Pakistan Tehreek-e-Insaf

হিন্দুরা গোমূত্র পান করেন, বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য পাক মন্ত্রীকে সতর্ক করল ইমরানের দল

পাকিস্তানের সংবাদ সংস্থা শামা সূত্রে খবর, ফয়জল একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে বলেন, ‘‘হিন্দুদের হাতে বিশেষ কোনও পতাকা নেই। যা তাঁদের কাছে রয়েছে।’’ এর পর মূর্তিপূজা নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯ ১১:৩৮
Share:

ফৈয়াজ উল হাসান চোহান। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

হিন্দু সম্প্রদায় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য। সতর্ক কড়া হল পাকিস্তানের এক মন্ত্রীকে। হিন্দুরা গোমূত্র পান করে, এমটাই মন্তব্য করেছিলেন পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের তথ্য-সংস্কৃতি মন্ত্রী ফৈয়াজ উল হাসান চোহান। এই মন্তব্যের জেরেই তেহরিক ই ইনসাফ দলের ওই মন্ত্রীকে সতর্ক করা হল দলের তরফে।

Advertisement

পুলওয়ামা কাণ্ডের পর এমনিতেই ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ চরমে। এর মধ্যে মন্ত্রীর এ হেন মন্তব্য পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করেছেন কেউ কেউ।

পাকিস্তানের সংবাদ সংস্থা শামা সূত্রে খবর, ফৈয়াজ একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে বলেন, ‘‘হিন্দুদের হাতে বিশেষ কোনও পতাকা নেই। যা তাঁদের কাছে রয়েছে।’’ এর পর মূর্তিপূজা নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: বোফর্সের চেয়েও শক্তিশালী এই দেশি কামান থেকে ছোড়া যায় মিনিটে ছ’টা গোলা!

মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের মানবাধিকার মন্ত্রী শিরেন মাজারি বলেন, ‘‘প্রতিটি মানুষের ধর্মাচরণের অধিকার রয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরাও দেশের জন্যই আত্মত্যাগ করেছেন।’’ তিনি বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সবসময় শান্তি ও সহিষ্ণুতার বার্তাই দিয়ে এসেছেন। তাই এ ধরনের কোনও মন্তব্যই দলের তরফে বরদাস্ত করা হবে না।

আরও পড়ুন: পুলওয়ামায় ফের সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, চলছে গুলির লড়াই

ইমরানের দলের অপর এক সদস্য নইমুল হক একটি টুইটবার্তায় বলেন, ফৈয়াজ উল হাসানের মন্তব্য কোনও ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এ জাতীয় ‘নির্বোধ’ মন্তব্য ইমরান খান সরকার মেনে নেবে না। দলের তরফে প্রয়োজনে ফৈয়াজ উল হাসানের বিরুদ্ধে কোনও সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।

আরও পড়ুন: ৮৫০০ রহস্যজনক লেনদেন, সন্ত্রাসে অর্থ জোগান নিয়ে পাকিস্তানকে সতর্কবার্তা

অপর এক মন্ত্রী আসাদ উমর বলেন,‘‘পাকিস্তানের পতাকায় সাদা রং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে মাথায় রেখেই। পাকিস্তানের হিন্দুরাও দেশেরই অংশ। আমিও সেই দেশের নাগরিক।’’

আরও পড়ুন: ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী, বিজেপি নেত্রী...ইনি রবীন্দ্র জাডেজার স্ত্রী

লেখক-প্রাবন্ধিক মেহের তারার জানান, ‘‘এই কুৎসিত মন্তব্যের জন্য মন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।’’ পাকিস্তানের জনসংখ্যার ১.৬ শতাংশই হিন্দু, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মও হিন্দু ধর্মই, এ কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের জাতীয় সংসদেও সাত জন সদস্য রয়েছেন, যাঁরা হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement