US Trade Deal

‘ব্রিক্‌স’-শুল্কের হুঙ্কার ছেড়েও আপাতত থেমেই রইলেন ট্রাম্প! ভারত-চিনকে চাপে রাখা হল, বলছে মার্কিন প্রশাসনিক সূত্র

গত রবিবার ‘ব্রিক্‌স’ একটি যৌথ বিবৃতি জারি প্রকাশ করে। সেখানে ইরানে হামলার নিন্দার পাশাপাশি শুল্কের প্রসঙ্গও উঠে এসেছিল। ওই বিবৃতির পরেই ‘ব্রিক্‌স’কে সরাসরি নিশানা করেছিলেন ট্রাম্প।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫ ১২:২৮
Share:

(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী, ডোনাল্ড ট্রাম্প (মাঝে) এবং শি জিনপিং (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

‘ব্রিক্‌স’-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলির উপর কি অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক চাপাবে আমেরিকা? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ব্রিক্‌স’কে সরাসরি হুমকি দেওয়ার পর থেকেই এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে রয়েছে ভারত-চিন-রাশিয়ার মতো দেশগুলি। যদিও আমেরিকার এক আধিকারিক সূত্রে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।

Advertisement

ওই সূত্রের দাবি, ‘ব্রিক্‌স’-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলির উপর এখনই ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর পরিকল্পনা নেই ট্রাম্পের প্রশাসনের। তবে ‘ব্রিক্‌স’-এর কোনও সদস্য যদি ‘আমেরিকাবিরোধী’ নীতি গ্রহণ করে, সে ক্ষেত্রে পরবর্তী চিন্তাভাবনা করবে আমেরিকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমেরিকার ওই সূত্র রয়টার্সকে বলেন, “একটি সীমা স্থির করা হচ্ছে। যদি আমেরিকাবিরোধী কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে তাদের উপর শুল্ক চাপানো হবে।” অর্থাৎ, ওই সূত্র বুঝিয়ে দিয়েছেন, ‘ব্রিক্‌স’ সদস্যদের চাপে রাখার জন্যই ট্রাম্প ওই হুঙ্কার দিয়েছেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত হোয়াইট হাউস থেকে ‘ব্রিক্‌স’-শুল্ক সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকাও জারি হয়নি।

গত রবিবার ব্রাজ়িলের রিও ডি জেনেইরো শহরে ‘ব্রিক্‌স’ সম্মেলন আয়োজিত হয়। সেখানে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ওই সম্মেলন শেষে ৩১ পাতার একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে ‘ব্রিক্‌স’। ওই বিবৃতিতে ১৩ জুন থেকে ইরানের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া সামরিক অভিযানের নিন্দা জানানো হয়। যদিও আমেরিকা বা ইজ়রায়েলের নামের উল্লেখ ছিল না সেখানে। বিবৃতিতে উঠে এসেছে শুল্কের প্রসঙ্গও। ‘ব্রিক্‌স’ জানিয়েছিল, বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ, তা সে নির্বিচারে শুল্ক বৃদ্ধি করাই হোক বা অন্য কোনও ঘোষণা, এগুলি বিশ্ব বাণিজ্যকে আরও পিছিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রেও সরাসরি কোনও দেশের নামোল্লেখ ছিল না।

Advertisement

‘ব্রিক্‌স’-এর ওই যৌথ বিবৃতির পরেই ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে এক পোস্টে সরাসরি নিশানা করেন ‘ব্রিক্‌স’কে। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘ব্রিক্‌স-এর আমেরিকাবিরোধী নীতির সঙ্গে কোনও দেশ যুক্ত হলে তাদের উপর বাড়তি ১০ শতাংশ কর চাপানো হবে। এর কোনও ব্যতিক্রম হবে না।”

এর পর থেকেই ‘ব্রিক্‌স’ সদস্য রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। আন্তর্জাতিক এই জোটের মধ্যে রয়েছে ভারত, চিন, রাশিয়া, ব্রাজ়িল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বছরে ইরান, ইন্দোনেশিয়া, ইথিয়োপিয়া, মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও এই জোটের সঙ্গে যুক্ত হয়। ঘটনাচক্রে, সোমবার ট্রাম্প যে ১৪টি দেশকে শুল্ক-চিঠি পাঠিয়েছেন, তার মধ্যে ‘ব্রিক্‌স’-এর দু’টি দেশ— দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইন্দোনেশিয়াও রয়েছে। দু’দেশের ক্ষেত্রেই গত এপ্রিলে যে শুল্ক ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প, সেটিই বজায় রেখেছেন। নতুন করে কিছু যুক্ত করা হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ার ক্ষেত্রে ৩২ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement