Ukrainian Woman Death

নিরাপত্তা দিতে পারল না আমেরিকাও! যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গিয়ে খুন তরুণী

দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট-এর প্রতিবেদন বলছে, গত সপ্তাহে নর্থ ক্যারোলাইনায় ইরিনার দেহ উদ্ধার হয়েছে। শার্লট-মেকলেনবার্গ পুলিশ জানিয়েছে, নর্থ ক্যারোলাইনার একটি স্টেশন থেকে ইরিনার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৫ ১২:৫৪
Share:

মৃত তরুণী ইরিনা জারুৎস্কা। ছবি: সংগৃহীত।

একটা নিরাপদ আশ্রয় এবং নতুন ভবিষ্যতের খোঁজ করছিলেন তিনি। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে পালিয়ে তাই আমেরিকায় আশ্রয় নিতে চেয়েছিলেন ইউক্রেনীয় শরণার্থী বছর তেইশের ইরিনা জারুৎস্কা। কিন্তু সেখানেও নিরাপত্তা পেলেন না। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে পা রেখেই খুন হতে হল তাঁকে।

Advertisement

দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট-এর প্রতিবেদন বলছে, গত সপ্তাহে নর্থ ক্যারোলাইনায় ইরিনার দেহ উদ্ধার হয়েছে। শার্লট-মেকলেনবার্গ পুলিশ জানিয়েছে, নর্থ ক্যারোলাইনার একটি স্টেশন থেকে ইরিনার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। নিরাপদ আশ্রয় আর নতুন ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে আমেরিকায় আসা বছর তেইশের তরুণীর স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল।

যে স্টেশন থেকে ইরিনার দেহ উদ্ধার হয়, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আততায়ীকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম ডিকার্লস ব্রাউন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের মামলা রয়েছে। ২০১১ সাল থেকে ডাকাতি, তোলাবাজি-সহ বেশ কয়েকটি মামলা ঝুলছে ব্রাউনের বিরুদ্ধে। একটি ডাকাতির মামলায় পাঁচ বছর জেলও হয় তাঁর। সম্প্রতি ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ইরিনাকে কেন খুন করলেন, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। লুটপাট চালানোয় বাধা দেওয়ায় ইরিনা খুন হলেন, না কি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক সংঘর্ষ চলছে। বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন ছেড়ে এনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দেশ ছেড়েছেন। ইরিনাও নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে আমেরিকাকেই বেছে নিয়েছিলেন। সেখানে একটা নতুন ভবিষ্যৎ এবং নতুন ভাবে জীবন শুরু করার স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণের আগেই তাঁকে হত্যা করা হল। যে আমেরিকাকে নিরাপদ আশ্রয় ভেবেছিলেন, সেই দেশ তাঁকে নিরাপত্তা দিতে পারল না বলে জানিয়েছেন ইরিনার ঘনিষ্ঠেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement