Afghanistan

১৮ বছরের যুদ্ধে ইতি, কাতারে তালিবানদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সই আমেরিকার

চুক্তি অনুয়াযী, আগামী ১৪ মাসের মধ্যে সমস্ত মার্কিন সেনাই আফগানিস্তানের মাটি ছেড়ে দেবে। তবে তা নির্ভর করছে কিছু শর্তের উপর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

দোহা শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২১:৩০
Share:

দোহায় তালিবান প্রতিনিধির সঙ্গে মার্কিন দূত। ছবি: রয়টার্স

নিজেদের ইতিহাসে দীর্ঘতম যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত ইতি টানতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘ আলোচনার পর শনিবার কাতারের দোহায় বাস্তবায়িত হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তালিবানদের মধ্যে শান্তি চুক্তি। এর ফলে আফগানিস্তান থেকে দ্রুত মার্কিন সেনা সরানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন।

Advertisement

এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে ১৩ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। এ দিনের চুক্তিমতো, আগামী চার থেকে পাঁচ মাসে ওই সেনা সংখ্যা কমে হবে ৮ হাজার ৬০০। চুক্তি অনুয়াযী, আগামী ১৪ মাসের মধ্যে সমস্ত মার্কিন সেনাই আফগানিস্তানের মাটি ছেড়ে দেবে। তবে তা নির্ভর করছে কিছু শর্তের উপর।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলা চালায় ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বাধীন তালিবান জঙ্গিরা। তাদের দমন করতে আফগানিস্তানে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্রিউ বুশের সরকার। তার পর কেটে গিয়েছে ১৮ বছর। তালিবানদের বিরুদ্ধে রক্ষক্ষয়ী যুদ্ধে জলের মতো খরচ হয়েছে অর্থ। তথ্য বলছে, আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার অভিযানে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ৫৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘কাটমানি দেব না’, হাওড়া জেলের ছাদে দাঁড়িয়ে চিৎকার বন্দির!

আরও পড়ুন: যুদ্ধ-দাঙ্গা-সন্ত্রাস: কবিতা আর গান যখন বাঁচার নিশান​

১৮ বছর আগে আফগানিস্তানের মাটিতে অভিযান শুরুর কয়েক মাসের মধ্যেই মার্কিন বাহিনীর আক্রমণের মুখে ভেঙে পড়ে তালিবানদের প্রতিরোধ। আফগানিস্তান ছেড়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নেয় তালিবান জঙ্গিদের মাথা ওয়াসামা বিন লাদেন। ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে অভিযান চালিয়ে লাদেনকে হত্যা করে মার্কিন নেভি সিল। এর পর থেকেই ধুঁকতে শুরু করে ওই জঙ্গি সংগঠনটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন