ব্রিটেনের ওয়েস্ট ড্রেটান কমিউনিটি সেন্টারের পুজো
বাঙালির ঘরে মহালয়া আসার পরই দুগ্গা আসে। শারদ আকাশে ভেলা ছুটিয়ে ধবধবে সাদা মেঘ নিয়ে আসে আগমনীর সুর। পর পর কয়েকটা বছরের ফাঁড়া কাটিয়ে বৃষ্টির ভ্রূকুটি সামলে শেষ বেলার পুজোর আয়োজন এবছর বেশ তুঙ্গে। শহর গঞ্জ পেরিয়ে দুগ্গা চলেছেন প্রবাসে।
ব্রিটেনের ওয়েস্ট ড্রেটান কমিউনিটি সেন্টারে "আদিশক্তির" পুজোর আয়োজন এই বছর ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পন করলো। ২০১৭ তে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই পুজো কমিটির নিত্য নতুন আয়োজনের জুড়ি মেলা ভার, নব্য হলেও ব্রিটেনের একদা তাবড় পুজো কমিটির সঙ্গে বেশ পাল্লা দিয়ে চলে এই পুজো কমিটির দুর্গাপুজো। বাঙালি-গুজরাতি-মারোয়াড়ি-দক্ষিণ ভারতীয় সকলকে একসঙ্গে এক ছত্রে বেঁধে রেখেছে এই আদিশক্তি পুজো কমিটি। বলার অপেক্ষা রাখে না ব্রিটেনের মাটিতে যেন ছোট্ট একটা ভারতবর্ষ।
প্রতি বছরের মতো ষষ্ঠী থেকে দশমী পুজো হবে পঞ্জিকা মতে। মায়ের বোধন, অঞ্জলি সন্ধিপুজা হয়ে সিঁদুর খেলা হবে আদিশক্তির মণ্ডপ প্রাঙ্গণে। ব্রিটেনের মাটিতে বাঙালি দেখবে এক টুকরো কলকাতাকে। হাবে ভাবে নব্য হলেও মণ্ডপ সজ্জায় থাকবে অভিনবত্ব, মা দুর্গা সেজে উঠবেন লালচেলিতে। ঢাকের বোলে ধুনুচির গন্ধে আদিশক্তির মণ্ডপে ছড়াবে পুজোর গন্ধ।
এ তো গেল পুজোর কথা, প্রতি বছর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও ব্রিটেনের অনেক পুজো উদ্যোক্তাদের টেক্কা দেয় তারা। ডান্ডিয়া নাচের তালে আধুনিক ডিজে গানের ফোয়ারা ঝরবে মণ্ডপ প্রাঙ্গণে। কবিতা, নাটক, গল্পে মণ্ডপ প্রাঙ্গণ হবে আদ্যপান্ত বাঙালির বৈঠকখানা। খাঁটি বাঙালি সাজে সেজে উঠবেন এখানকার সমস্ত প্রবাসী ভারতীয়রা। প্রতি বারের মতো এ বারেও উৎসবের আনন্দের পাশাপাশি দেদার খাওয়া দাওয়ার আয়োজন থাকবে। উৎসবের যাবতীয় অর্থ দুঃস্থদের সাহায্যার্থে দান করা হবে।
পুজো উদ্যোক্তা পার্থ চৌধুরীর মতে সকলকে নিয়ে একসঙ্গে চলাই এই পুজোর উদেশ্য, এক কথায় বৈচিত্রের মধ্যে সনাতন ঐক্যই তাদেরকে পথ চলার অনুপ্রেরণা যোগায়। সব মিলিয়ে আদিশক্তির এই বছর পুজোর আয়োজন সত্যিই নজরকাড়া।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy