জায়গাটা সুদূর হংকং। সুবাসিত বন্দর নগরী। অথচ শরতের বাতাস নামতেই সেখানে ভেসে আসে ঢাকের শব্দ, ধুনুচির গন্ধ। এ বার ২৭ বছরে পা দিল ইন্ডিয়ান রিক্রিয়েশন ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত হংকং বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের দুর্গাপুজো।
সংগৃহীত চিত্র।
শুধুই প্রবাসী বাঙালি নন, এই পুজোয় যোগ দেন ভারতের অন্য প্রান্তের মানুষও। এমনকী হংকং-এর স্থানীয় চৈনিক আবাসিকরাও এসে সামিল হন উৎসবে। পঞ্জিকা মেনে ষষ্ঠী থেকে দশমী—পাঁচ দিন ধরে চলে পূজার্চনা। কলকাতা থেকে বিশেষ ভাবে আসেন পুরোহিত, ঢাকি আর পাচক। মণ্ডপ সজ্জায় থাকে বাংলার ছোঁয়া, যেন এ পার বাংলার রঙিন ঝলক পৌঁছে যায় সাগরের ও পারেও।
পুজোর সময়টাতে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ষষ্ঠী, সপ্তমী আর নবমীর সন্ধ্যায় হয় জমকালো অনুষ্ঠান, যেখানে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা নিজেরাও অংশ নেন। একই সঙ্গে প্রকাশিত হয় বার্ষিক পত্রিকাও। অষ্টমীর অঞ্জলি, ধুনুচি নাচ, দশমীর সিঁদুরখেলা অথবা বিজয়ার ভূরিভোজ—সব মিলিয়ে প্রবাসেও যেন মেলে ঘরের স্বাদ।
২০১৬ সালে এই পুজো বিশ্ববাংলা শারদ সম্মানে ভূষিত হয়েছিল। এখানকার পুজো মানেই বাঙালির আড্ডা, প্রসাদ বিতরণ এবং জমিয়ে বাঙালি খাবার খাওয়া। প্রবাসের ব্যস্ত জীবনে এই ক'টা দিন যেন প্রাণের উষ্ণতা নিয়ে আসে, সবাইকে এক সুতোয় গেঁথে রাখে। হংকংয়ের এই পুজো যেন প্রবাসে থেকেও ঘরের সেই চেনা গন্ধের খোঁজ দেয়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।