আমেরিকার ডেট্রয়েট শহর। লক্ষ লক্ষ আলোর রোশনাই বা তিলোত্তমা কলকাতার মতো জমজমাট ব্যস্ততা এখানে নেই। অথচ, শরতের এই বিশেষ সময়ে এসে গ্রেটার ডেট্রয়েট অঞ্চলের বাঙালি মনটা কেমন যেন টলমল করে ওঠে। এই সময়টাই তো দুর্গাপুজোর! সুদূর মিশিগানে থাকা সেই সব প্রবাসী বাঙালি এই নস্টালজিয়াকে বুকেই আগলে রাখেন। আর সেই কারণেই এখানকার পুজো কেবল একটি উৎসব নয়, এ যেন শিকড়ের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করার এক সেতু।
সেই যোগসূত্রের নাম—‘স্বজন অফ গ্রেট লেক্স’। এ বছর ১৮ বছরে পা রাখল এই পুজো। ভাবা যায়! আঠারোটি বছর ধরে প্রবাসের মাটিতে মা দুর্গা সপরিবারে আসছেন। এই পুজো যেন সপ্তাহান্তের ছোট্ট ছুটিটুকুর মধ্যে লুকিয়ে থাকা এক মহোৎসব।
এখানকার মণ্ডপ তৈরির ভাবনাতেও রয়েছে বিশেষ শিল্প। শোনা গেল, এ বছর মণ্ডপ তৈরি হয়েছে চিরাচরিত শিল্পের ছোঁয়ায়—ধানের খড়, কাঠ এবং হাতে তৈরি নকশা দিয়ে। এই আয়োজনকে সফল করতে ‘স্বজন’-এর কার্যনির্বাহী পর্ষদ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
পুজোর দিনগুলিতে এখানেও বাঙালিরা চিরাচরিত পোশাকে সেজে ওঠেন। লুচি-পায়েসের গন্ধে মিশে যায় স্মৃতির সুবাস। ধুনুচি নাচের উদ্দামতা আর দেবীর চরণে অঞ্জলির মন্ত্র যেন মুহূর্তের জন্য ভুলিয়ে দেয় হাজার মাইলের দূরত্ব। সন্ধিপুজোর আরতি, সিঁদুর খেলা, আর সেই সঙ্গে পরিচিত ঢাকের বোল—সবই যেন এখানে এক অচিন সুরের মূর্ছনা তৈরি করে।
কলকাতার মণ্ডপের মতো বিশাল জাঁকজমক হয়তো এখানে নেই, কিন্তু ‘স্বজন’-এর এই পুজোয় প্রতিটি হাসিমুখ, প্রতিটি নিয়ম-আচার আর ঢাকের প্রতিটা বোল যেন প্রবাসের বুকে এক টুকরো বাংলা। মা দুর্গার কাছে সবার একটাই প্রার্থনা—এই আশীর্বাদটুকু যেন সবার জীবনে অক্ষুণ্ণ থাকে।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।