প্রতি বছরের মতো এই বছরও হাঁসলোতে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। লন্ডনের এই জায়গায় এখন ঢাকে কাঠি পড়া যেন কেবল সময়ের অপেক্ষা। হালকা শীত এবং ঝিরঝিরে বৃষ্টিকে সঙ্গে নিয়েই এখানে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপুজো।
সংগৃহীত চিত্র।
সংগৃহীত চিত্র।
এই বছর ১৪তম বছরে পা দিল হাঁসলোর পুজো। বেল রোডের হানিমুন ব্যাঙ্কোয়েটিং হলে অনুষ্ঠিত হবে এ বারের পুজো। এখানে প্রতি বছর নতুন মূর্তি এনে আরাধনা করা হয় না। বরং প্রতি বছর একই মূর্তিতে জাঁকজমক সহকারে পুজো হয়। আবহাওয়া একটু সমস্যা ঘটালেও, আনন্দ, উদযাপন, থেকে আয়োজনে কোনও ঘাটতি হয় না।
ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত ভোগের আয়োজন করা হয়। সুদূর বিদেশেও দেশের স্বাদ পেতে এ বারের ভোগে খিচুড়ি, লাবড়া, চাটনি, পাঁপড় সহ বাসন্তী পোলাও, লুচি আলুর দম সহ নানাবিদ খাবারের আয়োজন থাকবে।
সংগৃহীত চিত্র।
এই পুজোয় ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন পুজো দেখতে। দেবীর আরাধনা, পেটপুজোর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়ে থাকে। এই পুজোয় স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন সাহায্য মতো। এতে মণ্ডপে যেমন ভিড় উপচে পড়ে, তেমনই ভালই বিক্রিবাটা হয়।
আশ্বিনের শারদ প্রাতে দেবী যখন কৈলাস থেকে ধরাধামে আসেন, তখন এটাই হাঁসলোয় পরিচিত ছবি। পুজোর ফুল, ধুপ, আতরের স্বর্গীয় গন্ধের সাথে সুস্বাদু জাগতিক খাবারের রসালো গন্ধ মিলেমিশে এক মধুময় অনুভুতি সৃষ্টি করে। এ যেন এক সহাবস্থান। যেমন সহাবস্থান চিরন্তনের সাথে নতুনের। প্রতি বারই পুজো আসে একই রকম ভাবে। তাও প্রতি বারের পুজোই যেন নিজের মতো করে নতুন। সেই প্রতিমা, ভিড়, অঞ্জলির মন্ত্র, খাবারের লাইন, ঢাকের বাদ্যি - সবই হয় প্রতি বারের মতোই। অথচ সেই চিরাচরিত অনুশীলনের মধ্যেই প্রবাসী খুঁজে ফেরে নতুনকে। শারদীয়া দুর্গোৎসব তো পুরনো হওয়ার নয়!
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
সংগৃহীত চিত্র।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।