বাভারিয়ার সংস্কৃতির বহু চর্চিত উৎসব ‘অক্টোবর ফেস্ট’-এর নাম শুনেছেন তো? কিন্তু ভাবছেন এর সঙ্গে দুর্গোৎসবের কী সম্পর্ক? মজার বিষয় হল, এই মেলবন্ধন কেবল সম্ভব হয়েছে জার্মানির মিউনিখেই। আসলে সর্ববৃহৎ এই লোক উৎসব ও বিয়ার উৎসব সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয়ে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহান্ত পর্যন্ত চলে। খেয়াল করলেই বোঝা যাবে এর সঙ্গে যোগসূত্র সঙ্গে শারদীয় মরসুমেরও।
এর অর্থ হল, বছরের একই সময়ে একই শহরে দুই ভিন্ন সংস্কৃতির উৎসবের উদ্যাপন হয়। যার সাক্ষী থাকতে চলেছে জার্মানি তথা ইউরোপের অগ্রণী বাঙালি সংগঠন ‘সম্প্রীতি’। ১১ বছর বয়সের এই সংগঠন দ্বারা আয়োজিত দুর্গোৎসব এই বছর পা দেবে সপ্তমতম বর্ষে। নাম, ‘শারদ-সম্প্রীতি’।
এ বার সপ্তাহন্তকে কাজে লাগিয়ে শনিবার, অর্থাৎ পঞ্চমী থেকেই হইহই করে পুজো শুরু করে দিচ্ছেন এর সদস্যরা। ষষ্ঠীতে বোধন এবং পঞ্জিকা মেনে দশমীতেই দেবীর বিদায়। বাখ, বেঠোফেন, গ্যেটে, ব্রেখটের দেশে ঐতিহাসিক এক রঙ্গমঞ্চে পরিবেশিত হবে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যার মধ্যে প্রথমেই আসে ডান্ডিয়ার কথা। এ ছাড়াও রয়েছে সঙ্গীতানুষ্ঠান, খুদেদের নিয়ে নাটক, নৃত্যানুষ্ঠান। সবই যখন হচ্ছে, তা হলে ভূরিভোজটাই বা বাদ যায় কী ভাবে! পুজোর ছ’টি দিন থাকছে জমিয়ে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। মেনুতে কাতলা কালিয়া, আলু পোস্ত, ঝুরঝুরে আলু ভাজা-সহ আরও বাঙালি পদ থাকবে। তবে শুধু মধ্যাহ্নভোজন অথবা সান্ধ্যভোজন নয়, থাকছে চাট-ফুচকা এবং বিখ্যাত মোমোর স্টলও।
অতিথি আপ্যায়নেও কোনও ত্রুটি রাখতে চান না সংগঠনের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, শহরের মেয়র আন্দ্রিয়াস বুকাওস্কি আসবেন উদ্বোধনে। সঙ্গে আসবেন ভারতীয় কনসুলেট জেনারেল-সহ অন্যান্য আধিকারিকরাও। এমনকী, আশা করা হচ্ছে, সব ঠিক থাকলে পরিবার-সহ উপস্থিত থাকতে পারেন নেতাজি-কন্যা অনিতা পাফও।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।