‘ঠাকুর থাকবে কত ক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন…’ বছরভর যে প্রতিমাকে ঘিরে এত আয়োজন, দশমীতেই সব শেষ। হিন্দু শাস্ত্রমতে পুজোর শেষে প্রতিমাকে জলে বিসর্জন দেওয়ার রীতি রয়েছে। তবে বিদেশের মাটির দৃশ্য কিন্তু আলাদা।
দুর্গাপুজো আর কেবল নির্দিষ্ট ভৌগলিক সীমানায় আবদ্ধ নেই। বরং আগমনীর সুর ছড়িয়েছে সপ্ত সিন্ধু পেরিয়েও। বিলেতেও একই যত্নে বরণ করে ঘরে আনা হয় দেবীকে। তবে বিদায় দেওয়া হয় না। বরং দেবী থেকে যান সকলের মাঝেই। কী ভাবে?
আসলে হিন্দু শাস্ত্রে মনে করা হয় মানব শরীর তৈরি হয় আকাশ, বায়ু, অগ্নি, জল ও মাটি দিয়ে। তাই নিরাকার ঈশ্বরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয় মাটির প্রতিমার মধ্যে। যা পরবর্তীতে বিলীন হয়ে যায় জলের মধ্যে। কিন্তু বিদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, মাটির তৈরির প্রতিমাকে জলে না ভাসিয়ে একটি সুবিশাল কাঠের বাক্সের মধ্যে পরমযত্নে কাগজ অথবা প্লাস্টিকে মুড়ে রেখে দেওয়া হয় পরের বছরের জন্য। মানা হয়, গোটা বছর সেখানেই বিশ্রাম নেন দেবী। পরের শরতে ঠাকের আওয়াজের সঙ্গে যেন ফের জেগে ওঠেন তিনি।
প্রতি বছর বাংলা থেকে দেবী প্রতিমা নিয়ে যাওয়া ঝক্কির তো বটেই, ব্যয়সাপেক্ষও। তাই দশমীর দিন বিলেতে দেবীকে এ ভাবই বিদায় জানানো হয়।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।