পুজোর শেষ লগ্নেও জমজমাট আবহ আয়ারল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমে। চার বছরের ছোট্ট পথচলায় নর্থ ওয়েস্ট দুর্গোৎসব এখন হয়ে উঠেছে এখানকার প্রবাসী বাঙালির অন্যতম ভরসার জায়গা। শুধু বাঙালি নয়, এই মিলনমেলায় সামিল হচ্ছেন স্থানীয় আইরিশরাও।
উত্তর-পশ্চিম আয়ার্ল্যান্ডের পাঁচটি কাউন্টি—ডানিগল, স্লাইগো, মায়ো, লেইট্রিম এবং রস্কোমন—জুড়ে এই উৎসবের ব্যাপ্তি। শুধু কি তাই! যুক্তরাজ্যের অন্তর্গত উত্তর আয়ার্ল্যান্ড, এমনকি লন্ডন্ডেরি থেকেও উৎসাহী দর্শনার্থীরা প্রতি বছর সেখানে ছুটে যান। মাত্র চার বছরেই এই পুজো এমন এক প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠেছে, যা প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে জাগিয়ে দিয়েছে আত্মিক যোগ এবং গর্বের অনুভূতি। উৎসবের এই মঞ্চে কেবল প্রবাসী ভারতীয়রা নন, স্থানীয় আইরিশ সমাজকেও সমান উষ্ণতায় স্বাগত জানানো হয়।
এই উৎসবের আকর্ষণ ও আন্তরিকতা কিন্তু সত্যিই অন্য রকম। এখানে প্রবেশাধিকারে কোনও ভেদাভেদ নেই, প্রবেশমূল্য ছাড়াই সকলের জন্য অবারিত দ্বার। আর সবচেয়ে বড় কথা, এই আয়োজনের উদ্যোক্তারা প্রতি বছর নিখরচায় সকল দর্শনার্থীর জন্য ভোগের ব্যবস্থা করেন। ভোজের আয়োজনে এমন মুক্তহস্ত পরিবেশ আয়ার্ল্যান্ডে বিরল।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।