জার্মানির বাভারিয়া প্রদেশের ফ্রাঙ্কোনিয়া অঞ্চলে শহর এরলাঙ্গেন। এক লক্ষের কিছু বেশি মানুষের বাস। তার মধ্যে এরলাঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেশ কিছু বড় শিল্প সংস্থা থাকার সুবাদে এক-চতুর্থাংশই বাসিন্দা আদতে পরবাসী। অর্থাৎ, জার্মানি ছাড়া অন্যান্য দেশের বংশোদ্ভূত। এ হেন একটি আন্তর্জাতিক শহরের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশই ভারতীয়। স্বাভাবিক ভাবেই তার মধ্যে বাঙালির সংখ্যাও যথেষ্ট।
এরলাঙ্গেনের এমনই বেশ কিছু বাঙালি মিলেমিশে তৈরি করেছেন একটি দল। নাম 'দুর্গাভিলে'। যাদের মূল উদ্দেশ্য, সকলে মিলে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো উদযাপন করা। বিদেশের মাটিতে যা এক বিরাট পাওনা।
সংগৃহীত চিত্র।
দুর্গাভিলের এই পুজোর বয়স এ বার ৫ বছর হল। প্রত্যেক বছরই এই পুজোর প্রতিমা ও মণ্ডপসজ্জায় নিজস্বতা থাকে। পুজো হয় নিজেদের তৈরি করা প্রতিমায়। দুর্গাভিলের অন্যতম সদস্য দীপঙ্কর সরকার নিজে হাতে প্রতিমা গড়েন! মণ্ডপসজ্জাও হয় নির্দিষ্ট থিম অনুসারে। যেমন, এ বছরের থিম ছিল বাংলার 'পটচিত্র'।
প্রত্যেক বছরই পুরোহিতকে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে। ষষ্ঠীতে বোধন থেকে শুরু করে দশমীতে বিসর্জন– পাঁচ দিনের পুজো হয় একেবারে সমস্ত দিন-ক্ষণ মেনে। যদিও তাতে ভারত ও জার্মানির সময়ের পার্থক্যের জন্য কিছুটা বেগ পেতে হয়। তবু,বেশির ভাগ সময়েই চেষ্টা করা হয় যাতে পঞ্জিকা মেনে পুজো করা যায়।
সংগৃহীত চিত্র।
পুজো দেখতে অন্যদের পাশাপাশি স্থানীয় জার্মানরাও আসেন। পুজোর দিনগুলিতে সকলের জন্যই প্রত্যেক দিন দু'বেলা ভোগের ব্যবস্থা থাকে। সন্ধ্যায় মণ্ডপের বাইরে থাকে ফুচকার স্টল। দুর্গাভিলের সদস্যদের নিজেদের হাতে তৈরি ফুচকা, আলু মাখা আর তেঁতুল জল সেখানে পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়াও ছোটদের জন্য 'বসে আঁকো' প্রতিযোগিতা এবং বড়দের জন্য শাঁখ বাজানো, শাড়ি পরার মতো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
সংগৃহীত চিত্র।
২০২১ সাল থেকে শুরু হওয়া এই বাৎসরিক আয়োজনের পাশাপাশি দুর্গাভিলের তরফে প্রতি বছরই 'শারদীয়া' নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে বহু অখ্যাত প্রতিভার আঁকা-লেখা-ছবি প্রভৃতি জায়গা করে নেয়।
এ ভাবেই সুদূর জার্মানির এক শহরে পুজো কাটান সেখানকার বাঙালিরা। এ বারও যার কোনও ব্যতিক্রম হয়নি।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।