বিদেশের মাটিতে পুজো হলেও তার দৈর্ঘ্যে কোনও কাঁটছাঁট নেই! পুজোর সমস্ত নির্ঘণ্ট পালন করা হবে পাঁজি-পুঁথি মেনে এবং একটানা পাঁচ দিন ধরে - অর্থাৎ - বোধন থেকে শুরু করে বিজয়া - কোনও রীতিতেই সময়ের সঙ্গে কোনও আপস করা হয়নি!
এমন ঘটনা বড় একটা দেখা না গেলেও, তেমন ব্যবস্থাই করেছেন জার্মানির নবগঠিত প্রবাসী সংগঠন 'ইন্ডিয়ান কালচারাল কানেকশন - এসেন'-এর সদস্যরা। এই সংগঠনের জন্ম হয় গত বছর। আর, গত বছর থেকেই তারা দুর্গাপুজো শুরু করেছে। সেই হিসাবে এ বার পুজোর বয়স মাত্র ২। কিন্তু, সম্পূর্ণ আচার, রীতি মেনে পাঁচ দিনের এই লম্বা পুজো ইতিমধ্যেই সকলের নজর কাড়ছে। শুধুমাত্র প্রবাসী বাঙালি বা ভারতীয়রাই নন, পুজোয় যোগ দিচ্ছেন স্থানীয় জার্মান থেকে শুরু করে অন্যান্য দেশ থেকে এখানে বসবাস করতে আসা মানুষজনও।
সংগৃহীত চিত্র।
জার্মানির নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া প্রদেশের একটি শিল্পাঞ্চল হল এসেন। এই শহরে এক মাত্র 'ইন্ডিয়ান কালচারাল কানেকশন - এসেন'-এর সৌজন্যেই দুর্গাপুজো করা হচ্ছে। পুজোর ব্যবস্থাপনায় কলা বউ স্নান, চণ্ডীপাঠ, সন্ধিপুজো - কিছুই বাদ থাকছে না। আর থাকছে দেদার খাওয়া-দাওয়া। তাতে ভোগের খিচুড়ি, লুচি, আলুর দম যেমন থাকছে, তেমনই রয়েছে ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন, ফিশ ফ্রাই কিংবা বিরিয়ানি।
পুজোর দিনগুলিতে বাঙালি ঐতিহ্য মেনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করা হচ্ছে। ছোটদের দল মঞ্চস্থ করেছে 'লক্ষণের শক্তিশেল'। আর, বড়দের জন্য নাটক লিখেছেন এখানকারই এক বাঙালি গবেষক। কলকাতার পুজোর আমেজ নিতে পার্শ্ববর্তী ডর্টমুন্ড, মুলহাইম, বখুম, ডুসেলডর্ফ থেকেও বহু মানুষ এই উৎসবে যোগ দিতে আসছেন।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।