পুজোর সময় মানেই ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’।
আমাদের ছোটবেলায় পুজোর পরিবেশ ছিল একরকম। এখন অন্যরকম। বলা হয় পৃথিবীর যেখানে বাঙালি থাকে সেখানেই দুর্গাপুজোর আয়োজন হয়। আমরা এই আমস্টারডামের মাটিতেও পুজোয় মেতে উঠি। পুজোর সময় মানেই ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’। আমাদের সকলের তৈরি এই সংস্থা ‘আনন্দধারা’ শুধুমাত্র প্রবাসী বাঙালিদের কাছেই জনপ্রিয় নয়, তা পৌঁছে গিয়েছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। আমাদের দুর্গাপুজো এ বার পাঁচ বছরে পড়ল।
আমারেদর সংস্থার যাঁর সদস্য তাঁরা প্রত্যেকেই খুব দায়িত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধে। সকলকে সাদরে অভ্যর্থনা জানান। চারদিকে করোনার থাবা গোটা বিশ্ববাসীকে নাজেহাল করে রেখেছে। গত বছর অনেকেই পুজোর আনন্দে সে ভাবে মেতে উঠতে পারেনি। তাই এ বার যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আরাধনা শুরু হয়েছে। করোনা ‘নিরাপদ শংসাপত্র’ ছাড়া কাউকেই প্রেক্ষাগৃহে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না এখানে। তবে ১২ বছরের কম বয়স হলে কোনও শংসাপত্র লাগবে না। যাঁরা ভারত বা নেদারল্যান্ডসের বাইরে থেকে এই পুজোয় শামিল হতে চান তাঁদের জন্য কোভিশিল্ড বা সরকার অনুমোদিত টিকা নেওয়া বাঞ্ছনীয়। এখানে শুধু নেদারল্যান্ডস বা ভারত নয়, ফ্রান্স , জার্মানি এমনকি বেলজিয়াম থেকেও দর্শনার্থীরা আসেন পুজো দেখতে।
অতীতের রীতি মেনে এ বারও আনন্দধারার পুজো থিম-ভিত্তিক। ২০১৮ সালের থিম ছিল বনেদিবাড়ির দালান। তার পরের বছর হয়েছিল প্যাগোডা। এ বার আমাদের থিম মধ্যযুগের দুর্গ। সঙ্গে আলোর রোশনাই। এ বার ডাকের সাজের প্রতিমা এসেছে কুমোরটুলি থেকে। বাংলা থেকেই এসেছে ঢাক। পুজো করবেন বাঁকুড়ার পুরোহিত। সবমিলিয়ে জমজমাট আমাদের পুজো।
পুজো হবে আর খাওয়াদাওয়া হবে না এটা কি হয়? আমাদের পুজোর মেনুতে থাকছে শিঙাড়া,ফুচকার মতো খাবার। আবার রয়েছে চিকেন পকোড়া কষা মাংস এবং চিংড়ির মালাইকারির মতো পদও। এ বারও পুজোর কয়েকটা দিন আমরা মেতে উঠব নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। ছোটদের জন্য নাচ, গান, আবৃত্তি, আঁকা প্রতিযোগিতা তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে থাকছে বড়দের জন্যও নাচ, গান প্রতিযোগিতা। এ ছাড়া অন্যতম আকর্ষণ ‘পুজোর তিলোত্তমা’। এটা আসলে একটা নিজস্বী প্রতিযোগিতা। সব প্রতিযোগীর জন্য থাকছে নজরকাড়া উপহারসামগ্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy