পুজোর বাকি আর মাত্র ক'দিন। তাই ব্যস্ততা তুঙ্গে টেমসের পাড়েও। কারণ, এখানেও পূজিতা হন দেবী দুর্গতিনাশিনী। যে বাঙালিরা রুজিরুটি কিংবা উচ্চশিক্ষার টানে আজ বিলেতবাসী, মূলত তাঁদের কল্যাণার্থেই ব্রিটিশ রাজ্যেও পাড়ি দিতে হয়েছে জগজ্জননীকে।
বর্তমানে ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরের নানা জায়গায় খান চল্লিশেক দুর্গাপুজো হয়। তার মধ্যে নবীন-প্রবীণ সব রকমের আয়োজনই আছে। যাদের মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ লন্ডনের দুর্গাপুজো। এ বছর তাদের পুজো শুরু হচ্ছে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর। চলবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। পুজো হবে চাক৮৯-এর ব্যাঙ্কোয়েট হলে।
সংগৃহীত চিত্র।
প্রবাসী বাঙালিরা অনেক সময়েই স্থানীয় সময়সূচির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে আমেরিকান স্টাইলে 'উইকেন্ডের ক্র্যাশ-কোর্স' পুজো সারতে বাধ্য হন। কিন্তু, দক্ষিণ লন্ডনের ব্যবস্থাপনায় উমার আরাধনা সারা হয় যাবতীয় রীতি নীতি মেনে এবং পাঁজি দেখে। এ বারও তার কোনও ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
পুজোয় যাঁরা সামিল হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে যেমন প্রবীণরা রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন যুবরাও। পুজোর ক'টা দিন সকলেই সাধ্য মতো সাবেকি সাজে নিজেদের সাজিয়ে তোলেন। চলে আড্ডা, গল্প আর দেদার খাওয়া-দাওয়া।
সংগৃহীত চিত্র।
এখানে প্রতিমা আসে কলকাতার কুমোরটুলি থেকে। গঙ্গাজলের বদলে টেমসের জল আর শিউলি, রজনীগন্ধার বদলে গাঁদা, জেরেনিয়ামেই মায়ের পুজো সারা হয়। তবে, ভোগ প্রসাদে থাকে খাঁটি বাঙালিয়ানা। বিলেতে বাঙালি ছেলেপিলের দল কোমরে গামছা বেঁধে পরিবেশন করে খিচুড়ি, বাঁধাকপির তরকারি, আলু-বেগুন ভাজা, ফুলকপির ডালনা, চাটনি, পায়েস, দরবেশ! একটা গোটা বছর অপেক্ষার পর আবারও ফিরছে সেই আবেশ!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।