পুজো মানেই নতুন পোশাক, নতুন সাজ। আর সেই সাজ শাড়ি ছাড়া যেন অপূর্ণ! উৎসবের দিনগুলোয় বঙ্গনারী মানেই শাড়ি ব্যাপারটাও জ্যামিতির স্বতঃসিদ্ধর মতোই। কিন্তু কে বলেছে পুজোর ফ্যাশনে শাড়ি নারীরই একচেটিয়া?
শারদীয়া ফ্যাশন-পার্বণে শুধু মেয়েরাই নন, ছেলেরাও কিন্তু শাড়ি পরে চমক দিতে পারেন! আজ্ঞে হ্যাঁ, শাড়িকে ধুতি স্টাইলে পরে সহজেই পুজোর ফ্যাশনে এগিয়ে থাকা যায়! ঐতিহ্যবাহী ধুতি স্টাইলের সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়া মিশিয়ে এই সাজ হতে পারে এ বারের পুজোয় বাঙালি পুরুষের নিজস্ব ফ্যাশন স্টেটমেন্ট!
কোন ধরনের শাড়ি ছেলেরা বেছে নেবেন?
ধুতি স্টাইলে পরার জন্য সব শাড়ি উপযুক্ত নয়। কিছু নির্দিষ্ট ধরনের শাড়ি বেছে নিলে পরা এবং সামলানো দু'টোই সহজ হবে।
তাঁত বা হ্যান্ডলুমের শাড়ি: এই ধরনের শাড়ি তুলনামূলক ভাবে হালকা এবং সহজে ভাঁজ করা যায়। এর ডিজাইন এবং রং খুবই রুচিশীল, যা পুজোর সাজের সঙ্গে খুবই মানানসই।
লিনেন বা খাদি শাড়ি: এই শাড়িগুলি বেশ আরামদায়ক এবং টেকসই। এর রুক্ষ টেক্সচার ছেলেদের ফ্যাশনে এক অনন্য মাত্রা যোগ করে।
সিল্ক শাড়ি: জমকালো লুকের জন্য সিল্ক শাড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে মনে রাখবেন, খুব বেশি ভারী বা ঠাসা কাজের শাড়ি এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ, তা দীর্ঘক্ষণ সামলানো বেশ কঠিন।
ধুতি স্টাইলে শাড়ি পরবেন কী ভাবে?
শাড়িকে ধুতির কায়দায় পরার বেশ কিছু সহজ উপায় আছে। রইল তারই কিছু জনপ্রিয় স্টাইলের সুলুকসন্ধান:
১. সাধারণ ধুতি স্টাইল: প্রথমে শাড়ির আঁচল অংশটি পিছনের দিকে নিয়ে আসুন এবং কোমরের চার পাশে শক্ত করে বাঁধুন। এর পরে শাড়ির বাকি অংশ দিয়ে সামনের দিকে কুঁচি তৈরি করুন এবং তা কোমরে গুঁজে নিন। পিছনের দিকেও একই ভাবে শাড়ির কুঁচি তৈরি করে গুঁজে দিন। এই স্টাইলটি ধুতি-পাঞ্জাবি বা কুর্তার সঙ্গে খুবই মানানসই।
২. শাড়ি ল্যাঙি স্টাইল: এই স্টাইলটি সাধারণ ধুতির মতোই। তবে এতে শাড়ির কুঁচিগুলি হাঁটুর উপর দিয়ে তোলা হয়। ফলে হাঁটাচলা করতে আরও বেশি সুবিধা হয়। যাঁরা একটু ক্যাজুয়াল লুক পছন্দ করেন, তাঁরা এই স্টাইলটি বেছে নিতে পারেন।
৩. আধুনিক র্যাপ-অ্যারাউন্ড স্টাইল: এই স্টাইলটি সবচেয়ে সহজ এবং আধুনিক। শাড়ির একটি অংশ সামনে এবং অন্যটি পিছন দিকে গুঁজে একটি র্যাপ-অ্যারাউন্ড স্কার্টের মতো পরা যায়। এর সঙ্গে সাধারণ টি-শার্ট বা শার্ট পরলে একটি দারুণ ফিউশন লুক তৈরি হয়।
পুজোয় কী ভাবে স্টাইল করবেন?
পোশাক: ধুতি স্টাইলের শাড়ির সঙ্গে একটি সাধারণ কুর্তা, পাঞ্জাবি অথবা একটি সাদা টি-শার্ট বা শার্ট পরতে পারেন। কুর্তার রঙ শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বা কনট্রাস্ট করেও পরা যায়।
জুতো: এই স্টাইলের সঙ্গে কোলাপুরী চপ্পল বা স্যান্ডেল খুব ভাল লাগে। জমকালো লুকের জন্য পেনসিল হিল বা লোফার-ও পরা যেতে পারে।
অ্যাক্সেসারিজ: চাইলে গলায় একটি রুদ্রাক্ষের মালা অথবা হাতে একটি সিলভার ব্রেসলেট পরতে পারেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।