প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner

তিন বন্ধুর হাতযশে এ বার পুজো মাতাবে এই কাফে

ঠাকুর দেখে ক্লান্ত পা-জোড়াকে বিশ্রাম দিতে আর পেটের আরাম, মনের শান্তির খোঁজে দরজা ঠেলে ঢুকে পড়ুন এই কাফেতে।

সুমা বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:২১
বিদেশি ডিশের বাঙালি সংস্করণ চাখতে হলে আসুন এখানে। —নিজস্ব চিত্র।

বিদেশি ডিশের বাঙালি সংস্করণ চাখতে হলে আসুন এখানে। —নিজস্ব চিত্র।

মেক্সিকো, ইতালি বা স্পেনের মাটিতে পদচিহ্ন পড়ুক না পড়ুক ও দেশের স্পেশাল কিছু ডিশের স্বাদে আমবাঙালি মুগ্ধ। কলেজ পড়ুয়া থেকে আইটি এক্সপার্ট, ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজার অথবা অফিসের টপ বস মায় কচিকাঁচাদের সঙ্গে তাদের দাদু-ঠাম্মাদেরও মন জয় করে নিয়েছে বিদেশি ডিশের বাঙালি সংস্করণ। এরকমই এক কাফে কাম রেস্তরাঁর ঠিকানা জিরো থ্রি থ্রি।

প্রায় চার হাজার বছর আগের কথা। একদল আরবী ব্যবসায়ী মরুভূমি পেরচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিল ছাগলের পাকস্থলীর চামড়া দিয়ে তৈরি ঝোলায় ভর্তি দুধ। তা খেতে গিয়ে দেখেন এক দিকে দলা পাকানো মাখনের মতো একটা বস্তু আর পাতলা ঘোল আলাদা হয়ে গিয়েছে। নিরুপায় হয়ে তাই খেয়ে নিলেন! অসাধারণ স্বাদ, খিদে ও তেষ্টা দুই-ই মিটল। ঘোল আর চিজের জন্ম তখন থেকেই।

আজকের দিনে রান্নায় চিজ দিয়ে স্বাদ ও পুষ্টি দুই বাড়ানো যায়। তাই শেফদের তো বটেই, যাঁরা বাড়িতে বিদেশি ডিশ বানানোর চেষ্টা করেন, তাঁদের কাছেও চিজ জিনিসটি অতি প্রিয়। আর এই চিজের ম্যাজিককেই কাজে লাগিয়ে কলেজ পড়ুয়াদের কাছে টেনে নিয়েছে জিরো থ্রি থ্রি, বলছিলেন থ্রি মাস্কেটিয়ার্সের অন্যতম রণজিত দে।

আরও পড়ুন: হরি ঘোষ স্ট্রিটের দত্তবাড়ির ভোগের এ সব পদে জমিয়ে তুলুন আপনার হেঁশেল

ভোর হলেই দোর খোলে সাউথ সিটি কলেজের পাশের বাড়ির এই আড্ডাখানা। আর তখন থেকেই টুকটুক করে কাচের দরজা ঠেলে ভিড় জমাতে শুরু করে ছেলেমেয়েরা। আর তখনই শুরু হয় জিরো থ্রি থ্রি-র কিচেন কিংয়ের কেরামতি। চিজ আর ক্যাপসিকামের ছোঁয়ায় সামান্য ইনস্ট্যান্ট নুডলস হয়ে ওঠে অতীব স্বাদু। আর এখানেই কলকাতার টেলিফোন কোডের নামধারী কাফের ম্যাজিক।

ল্যান্ডফোন ক্রমশ বিরল প্রাণীর মতোই সংখ্যালঘু হয়ে যাচ্ছে, হারিয়ে যাওয়া কালো ল্যান্ড ফোনের ক্রিং ক্রিং শব্দের নস্টালজিয়া। তা মাথায় রেখেই রেস্তরাঁর নামকরণ— জানালেন তিন বন্ধুর আর একজন মধুরিমা সাহা। অসম পেশার তিন জন কাছাকাছি বয়সী ছেলেমেয়ের ওয়েভলেংথ মিলে গিয়েছিল কোনও এক কফিশপে। তার পর সেই অল্প চেনা তিন জন দ্রুত বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে ওঠে। খাওয়া-বেড়ানো আর আড্ডার নেশায় মাতোয়ারা বেসরকারি সংস্থার উচ্চ পদাধিকারী জোকা আইআইএম-এর কৃতী ছাত্র বিষান মুখার্জি, ফ্যাশন ডিজাইনার মধুরিমা সাহা আর ডায়াগনস্টিক চেনের মার্কেটিং ম্যানেজার রণজিত দে। এই তিন বন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় জিরো থ্রি থ্রি-তে। সঙ্গে যোগ দিলেন রন্ধনশিল্পী সৌমাল্য বণিক।

আরও পড়ুন: নিরামিষ মাংস? নাম শুনেই ভ্রু কোঁচকাবেন না। বানিয়ে তাক লাগান সবাইকে!

জায়গা পছন্দ থেকে অন্দরসজ্জা— সব কিছুই নিজেরা করেছেন। আর তাই মোটে চার মাস বয়সেই গোলপার্ক চত্ত্বরের এই রেস্তরাঁর খবর পৌঁছে গিয়েছে আড্ডাবাজ খাদ্যরসিকদের কাছে। সকাল থেকে মাঝরাত পেরিয়েও ভিড় উপচে পড়ে। পুজোর সময় রুটিন একটু বদলেছে। সকাল থেকে প্রায় রাত দু’টো পর্যন্ত পছন্দের খাবার পাবেন এই রেস্তরাঁয়। মেনুতেও হয়েছে কিছু অদলবদল। তবে সব ক’টির স্বাদই লা জবাব।

এখানকার সিগনেচার ডিশ ‘বিয়ার ব্যাটার’। না, ফিশ নয় জাস্ট পাতলা করে কাটা বেগুন। হ্যাঁ মোদ্দা জিনিসটা বেগুনি, কিন্তু মুচমুচে ভাজা বিয়ার দিয়ে বানানো ব্যাটারে। আছে কষা মাংসের র‍্যাপ, ফিনফিনে ভাতের সঙ্গে রসুন ধোয়া গন্ধে মজানো গ্রিল্‌ড প্রন, অ্যাপেল মাস্টার্ড জুস-সহযোগে পর্ক চপ-সহ নানা অসাধারণ স্বাদু পদ।

এদের অন্যতম সেরা বিভাগ পর্ক। এই মাংসকে বাঙালি এখন আর অচ্ছুত করে রাখেনি। জেন ওয়াই তো পর্কের স্বাদে মজেছে, তাই মায়ের হেঁসেলে প্রবেশ নিষেধ হলেও রেস্তরাঁতে চাখতে কোনও সমস্যা নেই। আইসবার্গ লেটুসের পরতে মোড়া বেকনে জড়ানো চিংড়ির স্বাদে মজবেন না এমন মানুষ খুঁজে পাবেন না। এরকমই আর একটি ডিশ স্প্যাগেটি কার্বোনারা, হার্ব কোটেড ফিশ-সহ আরও অনেক কিছু। তবে চাখতে গেলে যেতেই হবে জিরো থ্রি থ্রি-তে। ঠাকুর দেখে ক্লান্ত পা-জোড়াকে বিশ্রাম দিতে আর পেটের আরাম, মনের শান্তির খোঁজে দরজা ঠেলে ঢুকে পড়ুন।

তবে পর্কের বাইরেও আছে নানা পছন্দসই খাবার। শেফ সৌমাল্য জেন ওয়াইয়ের পছন্দসই তেমনই একটি রেসিপি শেয়ার করলেন আপনাদের জন্য।

আরও পড়ুন: মাইক্রো আভেন আছে বাড়িতে? অথচ এগুলো রান্নাই করেননি!

মাশরুম কাপ কেক

ছোট্ট ছোট্ট মাশরুমের ছাতার মধ্যে চেডার চিজ, জেলেপানো, কর্ন-সহ আরও কিছু স্বাদু উপকরণ মিলে তৈরি এক অভিনব পদ। অরিগানোর গন্ধে ভরা চিজে মাখোমাখো তুলতুলে নরম মাশরুমের ম্যাজিক ডিশ দেয় জিভের আরাম, মনের শান্তি। চেষ্টা করেই দেখুন না কেমন হয়। নইলে তো জিরো থ্রি থ্রি-র টেবিল রইলই।

উপকরণ

বাটন মাশরুম: ১০০ গ্রাম

আমেরিকান কর্ন: ২৫ গ্রাম

পিঁয়াজ: একটি

রসুন: ২ কোয়া

জেলেপানো: চার ফালি

অরিগ্যানো: ১ চামচ

লেমন জুস: ১ চামচ

চেডার চিজ, প্রসেসড চিজ: ১০ গ্রাম করে

চিলি ফ্লেক্স: ১ চামচ

অলিভ অয়েল: ১ চামচ

নুন: স্বাদ অনুযায়ী

প্রণালী

মাশরুম ফুটন্ত জলে ফেলে কিছু ক্ষন রেখে জল ঝরিয়ে রাখুন। এতে নুন, অলিভ অয়েল, চিলি ফ্লেক্স ও অরিগ্যানো মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন। প্যানে সামান্য অলিভ অয়েল দিয়ে রসুন কুঁচি দিয়ে কর্ন-সহ সব উপকরণ মিশিয়ে নেড়েচেড়ে রাখুন। মাশরুমে এই ফিলিং ভরে উপরে মিক্সড চিজ দিয়ে বেক করে ডিপ বানিয়ে গরমাগরম পরিবেশন করুন।

Durga Puja Food Durga Puja cocktails Durga Puja breakfast Durga Puja Recipes
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy