শুধু ফরাসির সঙ্গে তামিলের মেলবন্ধনে সন্তুষ্ট হলেন না বাঙালি রন্ধনশিল্পী। বাংলার স্বাদ যোগ করতে না পারলে শিল্প কেন! এ ভাবনা থেকেই এঁচোড়, চিংড়ির সঙ্গে ইটালির লাসানিয়ার মেলবন্ধনে বানিয়ে ফেললেন অসাধারণ ফিউশন। পুজোর দিনে নাই বা গেলেন দেশ ভ্রমণে, কিন্তু ভিন দেশি খানা চলতেই পারে। পরিবারের সকলের জন্যে ঝটপট রেঁধে ফেলুন নতুন কোনওপদ। শেখালেন পুদুচেরিরইনস্টিটিউটঅব হোটেলম্যানেজমেন্টেরঅধ্যাপকশেফ বাপ্পাকুণ্ডু।
সময়টা ১৩০০ শতাব্দীর আশেপাশে। সেই সময়ে নেপলসে পাস্তা চাউমিনের পূর্বসূরি লাসানিয়া বানিয়ে তাক লাগিয়ে দেন এক রন্ধন শিল্পী।দুই প্রতিবেশী দেশ ইটালি আর ফ্রান্সের মানুষজন আপন করে নেয় স্বাদু ও পুষ্টিকর লাসানিয়াকে। বিশ্বের প্রাচীনতম রান্নার বই লিবের দে কোকিইনা-তে জানা যায় নেপলসে এই সুস্বাদু খাবারের উৎপত্তি। লাসানিয়ার সঙ্গে বাঙালির চির-পরিচিত এঁচোড়-চিংড়ির যুগলবন্দি। সঙ্গে চিজে মাখ মাখ ধনিয়া পেস্তো সস। ৭০০ বছরের পুরনো রান্নায় বাঙালি ছোঁয়া জুড়তে একটু পরিশ্রম আছে ঠিকই, কিন্তু সম্পূর্ণ এই ডিশ একাই ২০০ বললেও অত্যুক্তি হয় না,জিভে জল। শেফ বাপ্পা কুণ্ডুর দেওয়া রেসিপি বাড়িতে বানানো মোটেই কঠিন নয়।