ওজন বেড়ে যাচ্ছে, তাই সারা দিন না খেয়ে থাকাই শ্রেয়– এই সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল, তা যদি কোনও পুষ্টিবিদকে জিজ্ঞেস করে দেখুন। শুরুতেই নাকচ করে দেবেন তিনি। মেদ ঝরানোর জন্য উপোস নৈব নৈব চ। চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট কিছু খাবার নিয়ম মেনে খেলে ওজন কমবে নিজে থেকেই। পুজো তো প্রায় চলেই এল, উপোসটা বরং অষ্টমীর অঞ্জলির জন্যই তোলা থাক।
ওট্স
ওজনও কমবে, অথচ স্বাদের সঙ্গেও আপোস করতে হবে না। ইন্টারনেটে ওটসের নানা সুস্বাদু রেসিপি ঘাঁটলেই মিলবে সমাধান। ওটসে সহজপাচ্য ফাইবারের উপাদান বেশি। এ ছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এটি। ওট্স খেলে অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে ফলে ঘন ঘন খাবার খাওয়ার প্রবণতাটাও কমে।
সবুজ শাকসবজি
কেবল বাহ্যিক দেখনদারির জন্য নয়, শরীর ভাল রাখতেও ওজন কমানো প্রয়োজন। আর তার জন্য সবুজ শাকসব্জির কোনও বিকল্প নেই। এতে ক্যালোরির পরিমাণ একেবারেই কম থাকে। বরং সব্জিতে উপস্থিত ফাইবার সহজে হজম হয়। পুজোর আগে রোগা হতে চাইলে অবশ্যই ডায়েটে রাখুন তাদের।
ডিম
ডিম তো ফ্যাট সমৃদ্ধ, ওজন কমবে? আজ্ঞে হ্যাঁ। ডিমে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যা দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। সহজে খিদে পায় না। এ ছাড়া প্রোটিনের অন্যতম উৎসই হল এই ডিম। ওজন ঝরানোর জন্য প্রোটিন খেতে হবে বেশি করে।
সামুদ্রিক মাছ
ডিমের মতোই ভূমিকা পালন করে মাছ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, এমন মাছ বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ। এতে এমন সব গুণই আছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ফল
কিউই, আপেল, ন্যাসপাতির মতো ফল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ওজন তো কমবেই, উল্টে এতে উপস্থিত ফাইবার এবং জল শরীরকেও ভাল রাখবে। এ ছাড়া অ্যাভোকাডো এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গ্রিক ইয়োগার্ট
এই দই ভরপুর প্রোটিনে সমৃদ্ধ। মেদ ঝরাতে যত খুশি খান। বিপাকের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে শরীরে আসবে শক্তিও।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।