রান্না যতই নিপুণ ভাবে করা হোক না কেন, এর আসল প্রাণ লুকিয়ে মশলায়। রান্নায় পছন্দমতো ঝাঁঝ আর গন্ধ এক মাত্র আসে খাঁটি মশলার মধ্য দিয়েই। তবেই না জিভের স্বাদকোরক উজ্জীবিত হবে! কিন্তু ভেজাল না খাঁটি, সেটা কতটুকুই বা যায় চেনা? এখানেই ব্যতিক্রমী ‘গণেশ পিওর স্পাইসেস্’। প্রতিটি দানা, বীজ এবং পাতা বিশুদ্ধতার কষ্টিপাথরে যাচাই হবার পরই তা যায় বাঙালির হেঁশেলে।
‘গণেশ পিওর স্পাইসেস্’ দাবি করে, তাদের এই বিশুদ্ধতা কেবল একটি প্রতিশ্রুতি নয়, এটি একটি প্রক্রিয়া। প্রতিটি উপাদান প্রক্রিয়াকরণ হয় আধুনিক কালার সর্টার টেকনোলজির মাধ্যমে। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, অপটিক্যাল সেন্সরের সাহায্যে ক্ষুদ্রতম অপ্রয়োজনীয় বস্তুকেও শনাক্ত করে বাদ দিয়ে দেয়, যাতে ক্রেতারা পায় শুধুমাত্র খাঁটি, বিশুদ্ধ মশলার স্বাদ। হলুদ হোক বা জিরে — প্রতিটি মশলাই হয়ে থাকে ১০০% খাঁটি। নেই কোনও ধুলো-ময়লা বা ভেজালের ছোঁয়া।
বিশ্বাস হচ্ছে না? ঘরে বসে নিজেই যাচাই করে দেখতে পারেন এই মশলার বিশুদ্ধতা। এর জন্য কোনও ল্যাবরেটরির দরকার নেই ।
বাড়িতেই কয়েকটি সহজ পরীক্ষায় জেনে নিতে পারেন আপনার মশলা সত্যিই খাঁটি কিনা—
হলুদ গুঁড়ো
পরীক্ষা: এক চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো এক গ্লাস গরম জলে মেশান।
যদি খাঁটি হয়, গুঁড়োটা নিচে বসে যাবে। আর জল থাকবে পরিষ্কার।
যদি ভেজাল থাকে: জল ঘোলা হয়ে যাবে বা রং ছড়িয়ে পড়বে। অর্থাৎ বুঝতে হবে এতে কৃত্রিম রঙ মেশানো থাকতে পারে।
লাল লঙ্কা গুঁড়ো
পরীক্ষা: অল্প পরিমাণে লঙ্কা গুঁড়ো জলের উপর ছিটিয়ে দিন।
যদি খাঁটি হয়, খাঁটি লঙ্কা গুঁড়ো ভেসে থাকবে, সঙ্গে সঙ্গে জলের রং বদলাবে না।
যদি ভেজাল থাকে: জল তৎক্ষণাৎ লাল হয়ে যাবে—এতেও বাড়তি রং মেশানো থাকতে পারে।
ধনে গুঁড়ো
পরীক্ষা: অল্প একটু ধনে গুঁড়ো আঙুলের মাঝে ঘষে গন্ধ নিন।
যদি খাঁটি হয়, তাজা, হালকা লেবুর মতো সুবাস পাবেন।
যদি ভেজাল থাকে: গন্ধ হবে ফিকে। এর অর্থ হল এর মধ্যে পুরোনো বা মেশানো কোনও মশলা হতে পারে।
গোলমরিচ
পরীক্ষা: কয়েকটি গোলমরিচের দানা জলে ফেলুন।
যদি খাঁটি হয়, ভারী ও আসল গোলমরিচ নিচে বসে যাবে।
যদি ভেজাল থাকে: হালকা, ফাঁপা বা কৃত্রিম দানাগুলি উপরে ভেসে উঠবে।
জিরে
পরীক্ষা: কয়েকটি জিরে হাতের তালুর মাঝে ঘষে দেখুন।
যদি খাঁটি হয়, আপনার হাত পরিষ্কার থাকবে, কোনও দাগ পড়বে না।
যদি ভেজাল থাকে: হাত কালচে হয়ে যাবে। বুঝবেন জিরেতে কৃত্রিম রং বা কাঠকয়লার প্রলেপ দেওয়া আছে।
এখানেই ‘গণেশ পিওর স্পাইসেস্’-এর প্রতিশ্রুতি। উৎপাদন থেকে প্যাকেজিং পর্যন্ত, মশলায় প্রতিটি ধাপ চলে নির্ভুলতা পদ্ধতি ও স্বচ্ছতার সঙ্গে। এই জন্যেই তো বলা হয়, ‘গণেশ খাঁটি মশলা- রং দিয়ে যায় চেনা…।’
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।