হাঁটু-কোমরের ব্যথায় নাস্তানাবুদ, এ দিকে প্যান্ডেলে ঘোরার বায়না বাড়ির খুদেদের মতই। কেউ আবার পুজোর ক’দিন বাড়িতে খেতে নারাজ, অসুস্থতা সামলেও বাইরে খেতেই তাঁদের আনন্দ বেশি। পরিবারের প্রবীণতম মানুষদের পুজোর সময় ভাল রাখার উপায় বাতলালেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বিশ্বাস।
কাশ ফুল ফুটুক না ফুটুক, পুজোর আনন্দকে কেউই আটকে রাখতে পারে না। বাড়ির খুদে মানুষটি থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সকলের মন খুশিতে ভরা। উৎসবের আনন্দে তাঁরাও মশগুল।
কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ, সুগার, হার্টের অসুখ সব নিয়েও বৃদ্ধ বাবা-মা অথবা ঠাকুমা-দাদুর পুজোটা কী ভাবে আনন্দে কাটবে, কোনও আচমকা বিপদ এলে কী ভাবে সামলাবেন অথবা সমস্যা প্রতিরোধে কী করবেন সেগুলো আগে থেকে জানা থাকলে মোকাবিলা করা সহজ।
আরও পড়ুন: পুজোর অনিয়মে বাড়তে পারে কোমরের মেদ, এ সব মানলে সে ভয় নেই
হাঁটুর ব্যথা বলে ঠাকুর দেখা আটকায় নাকি! এক বার পারিবারিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে রাখুন। যদিও ইদানীং বেল্ট পরার ব্যাপারে মতভেদ আছে, কিন্তু আমার মতে বাড়ির বাইরে গেলে নি-ক্যাপ, লাম্বার বা সারভাইকাল বেল্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সারা দিন কখনওই পরে থাকবেন না।
হাঁটার সময় ব্যথায় কাবু হলে নিরাপদ দু’-একটা ব্যথার ওষুধ সঙ্গে রাখুন। নিতান্ত দরকার না হলে ওষুধ মানা।
পাড়ার পুজোয় মাইকের অত্যচার অনেক সময় অসহনীয় হয়ে ওঠে। ৮৫ ডেসিবলের উপরে লাগাতার মাইকের শব্দ, হার্ট আর কান দুইয়ের উপরেই খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই বিষয়টা নিয়ে একটু ভাবতে হবে। দরকার হলে পুজো কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করুন। না হলে বর্ষীয়ান মানুষটির ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখা ছাড়া উপায় নেই।
হাঁটুর ব্যথা বলে ঠাকুর দেখা আটকায় নাকি! এক বার পারিবারিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে রাখুন। যদিও ইদানীং বেল্ট পরার ব্যাপারে মতভেদ আছে, কিন্তু আমার মতে বাড়ির বাইরে গেলে নি-ক্যাপ, লাম্বার বা সারভাইকাল বেল্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সারা দিন কখনওই পরে থাকবেন না।
হাঁটার সময় ব্যথায় কাবু হলে নিরাপদ দু’-একটা ব্যথার ওষুধ সঙ্গে রাখুন। নিতান্ত দরকার না হলে ওষুধ মানা।
পাড়ার পুজোয় মাইকের অত্যচার অনেক সময় অসহনীয় হয়ে ওঠে। ৮৫ ডেসিবলের উপরে লাগাতার মাইকের শব্দ, হার্ট আর কান দুইয়ের উপরেই খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই বিষয়টা নিয়ে একটু ভাবতে হবে। দরকার হলে পুজো কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করুন। না হলে বর্ষীয়ান মানুষটির ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখা ছাড়া উপায় নেই।
পুজোর অঞ্জলি দিতে গিয়ে বা হাউজিং অথবা পাড়ার পুজো প্যান্ডেলে বসে থাকাটা অনেক সিনিয়র সিটিজেনের খুব পছন্দের। এখানে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে। ধূপ-ধুনোর ধোঁয়া থেকে একটু সাবধানে থাকা দরকার। নাগাড়ে ধোঁয়ার মধ্যে থাকলে হাঁচি-কাশির ঝুঁকি থাকে। আর যাদের হাঁপানি, সিওপিডি, আইএলডি-সহ অন্যান্য ফুসফুসের অসুখ আছে তাঁরা ভুলেও ধূপ-ধুনোর ধোঁয়ার কাছে যাবেন না।
হাইপারটেনশন, ডায়বিটিস, কোলেস্টেরল, হার্টের অসুখের জন্য অনেককেই নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। পুজোর আনন্দে ওষুধ খেতে ভুলে গেলেই মুশকিল। মনে করে রোজকার ওষুধ খেতে ভুলবেন না। গ্লকোমার জন্যে যাদের নিয়ম করে চোখে ওষুধ লাগাতে হয়, তাঁরা ওষুধ লাগাবেন।
পুজোর অঞ্জলি দিতে গিয়ে বা হাউজিং অথবা পাড়ার পুজো প্যান্ডেলে বসে থাকাটা অনেক সিনিয়র সিটিজেনের খুব পছন্দের। এখানে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে। ধূপ-ধুনোর ধোঁয়া থেকে একটু সাবধানে থাকা দরকার। নাগাড়ে ধোঁয়ার মধ্যে থাকলে হাঁচি-কাশির ঝুঁকি থাকে। আর যাদের হাঁপানি, সিওপিডি, আইএলডি-সহ অন্যান্য ফুসফুসের অসুখ আছে তাঁরা ভুলেও ধূপ-ধুনোর ধোঁয়ার কাছে যাবেন না।
হাইপারটেনশন, ডায়বিটিস, কোলেস্টেরল, হার্টের অসুখের জন্য অনেককেই নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। পুজোর আনন্দে ওষুধ খেতে ভুলে গেলেই মুশকিল। মনে করে রোজকার ওষুধ খেতে ভুলবেন না। গ্লকোমার জন্যে যাদের নিয়ম করে চোখে ওষুধ লাগাতে হয়, তাঁরা ওষুধ লাগাবেন।
আরও পড়ুন: পুজোয় বেড়াতে যাচ্ছেন? এই সব ওষুধ সঙ্গে না নিলে সমস্যা বাড়বে
এই সময়ে হাউজিং বা পাড়ার পুজোয় সকলে একসঙ্গে খাবার একটা চল আছে। বেশি মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। দরকারে অ্যান্টাসিড খেতে হবে। এক বেলা বাইরে খেলেও অন্য সময় বাড়িতে খেলে ভাল হয়। আর খাবারের পরিচ্ছন্নতার দিকেও নজর রাখতে হবে।
অনেক সময় বয়স্ক মানুষরা নিজেকে অপ্রয়োজনীয় মনে করে মনোকষ্টে ভোগেন। পুজোর সময় নিজেকে গৃহবন্দী করে রাখেন। এঁদের সঙ্গে থেকে, বুঝিয়ে, কথা বলে, সঙ্গে নিয়ে পুজো দেখানোর ভার নিতে হবে বাড়ির মানুষজনকেই।
বেশি বয়সে কিছু কিছু রোগভোগ কোনও রকম আগাম উপসর্গ ছাড়াও হতে পারে। যেমন ধরা যাক, সাধারণ ভাবে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ— বুকে ব্যথা বা চাপ ধরা ভাব, নিঃশ্বাসের কষ্ট আর দরদরিয়ে ঘাম। কিন্তু এক জন বয়স্ক মানুষের এসব লক্ষণ ছাড়াও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যেমন হঠাৎ পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলেন। হতে পারে এটা হার্ট অ্যাটাক বা ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণ। তাই কোনও সামান্য অসুবিধাও অবহেলা করবেন না। প্রয়োজনে হাতের কাছে মজুত রাখুন দরকারি ওষুধ। অ্যাম্বুলেন্স ও হাসপাতালের নম্বরও কাছে রাখুন।
যদি দেখেন বয়স্ক মানুষটি হঠাৎই অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন বা অদ্ভুত আচরণ করছেন। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
বেশি বয়সে সোডিয়াম পটাশিয়ামের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। এ ক্ষেত্রেও বয়স্ক মানুষটির আচরণ সম্পূর্ণ বদলে গিয়ে অসংলগ্ন আচরণ করতে পারেন। রাগারাগি না করে অবিলম্বে চিকিৎসা শুরু করা উচিত।
বাড়ির প্রবীণ মানুষদের ভাল রাখার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মের, সেই ভার অস্বীকার করলে চলবে না।
এই সময়ে হাউজিং বা পাড়ার পুজোয় সকলে একসঙ্গে খাবার একটা চল আছে। বেশি মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। দরকারে অ্যান্টাসিড খেতে হবে। এক বেলা বাইরে খেলেও অন্য সময় বাড়িতে খেলে ভাল হয়। আর খাবারের পরিচ্ছন্নতার দিকেও নজর রাখতে হবে।
অনেক সময় বয়স্ক মানুষরা নিজেকে অপ্রয়োজনীয় মনে করে মনোকষ্টে ভোগেন। পুজোর সময় নিজেকে গৃহবন্দী করে রাখেন। এঁদের সঙ্গে থেকে, বুঝিয়ে, কথা বলে, সঙ্গে নিয়ে পুজো দেখানোর ভার নিতে হবে বাড়ির মানুষজনকেই।
বেশি বয়সে কিছু কিছু রোগভোগ কোনও রকম আগাম উপসর্গ ছাড়াও হতে পারে। যেমন ধরা যাক, সাধারণ ভাবে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ— বুকে ব্যথা বা চাপ ধরা ভাব, নিঃশ্বাসের কষ্ট আর দরদরিয়ে ঘাম। কিন্তু এক জন বয়স্ক মানুষের এসব লক্ষণ ছাড়াও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যেমন হঠাৎ পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলেন। হতে পারে এটা হার্ট অ্যাটাক বা ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণ। তাই কোনও সামান্য অসুবিধাও অবহেলা করবেন না। প্রয়োজনে হাতের কাছে মজুত রাখুন দরকারি ওষুধ। অ্যাম্বুলেন্স ও হাসপাতালের নম্বরও কাছে রাখুন।
যদি দেখেন বয়স্ক মানুষটি হঠাৎই অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন বা অদ্ভুত আচরণ করছেন। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
বেশি বয়সে সোডিয়াম পটাশিয়ামের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। এ ক্ষেত্রেও বয়স্ক মানুষটির আচরণ সম্পূর্ণ বদলে গিয়ে অসংলগ্ন আচরণ করতে পারেন। রাগারাগি না করে অবিলম্বে চিকিৎসা শুরু করা উচিত।
বাড়ির প্রবীণ মানুষদের ভাল রাখার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মের, সেই ভার অস্বীকার করলে চলবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy