প্রতীকী ছবি
বাঙালির কাছে পুজো তো স্রেফ ঘোরাঘুরি আর আড্ডা নয়। পুজো মানে জমিয়ে পেটপুজোও বটে! দেবীপক্ষ পড়তে না পড়তেই উৎসবের আমেজে শুরু হয়ে যায় এলাহি খাওয়াদাওয়া। কথাতেই আছে ‘মধুরেণ সমাপয়েৎ’। কিন্তু পুজোর দিনে শুধু ভোজের শেষেই নয়,বরং আদ্যোপান্ত জুড়ে থাকে হরেক রকম মিষ্টি। সঙ্গে নানা রকম স্ট্রিট ফুড ও ফাস্ট ফুডের দৌলতেও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার মাত্রা বেড়েই চলে। কিন্তু মিষ্টি ও বেনিয়মের এই যৌথ দাপট শরীর কতটা সামলাতে পারবে, সেটাও কিন্তু ভেবে দেখার। একেই কুড়ি থেকে সত্তর বছরের মধ্যে থাকা জনসংখ্যার প্রায় ৯ শতাংশ ভারতবর্ষে ডায়াবেটিস আক্রান্ত। তার উপর এমন দেদার মিষ্টিমুখ চললে কী হবে, তা বলাই বাহুল্য। মিষ্টি খাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই মেনে চলুন কয়েকটি সহজ নির্দেশ।
চিনির পরিমাণ কমানঃ দৈনন্দিন খাবারে চিনির ব্যবহার স্বাভাবিকের থেকে খানিক বেশিই থাকে। পুজোর কয়েক দিন লাগামছাড়া মিষ্টি খাওয়ার সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে খাবার তৈরিতে চিনির ব্যবহার কমিয়ে আনা ভাল। বড়দের ক্ষেত্রে চিনির মাত্রা দিনে ৩০ গ্রাম ও ছোটদের ক্ষেত্রে যেন কোনও ভাবেই দিনে ২৪ গ্রাম অতিক্রম না করে। এমনই সাবধানবাণী রয়েছে ব্রিটেনের সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকায়।
গুনে মিষ্টি খানঃ স্রেফ দেওয়া হয়েছে বলেই ইচ্ছেমতো মিষ্টি খেয়ে যাবেন, এমনটা কিন্তু আখেরে শরীরের ক্ষতিই করবে। শুধু রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমিয়ে দেবে, তা নয়। এই অতিমারির সময়ে কো-মর্বিডিটি বাড়িয়ে তুলে আপনাকে বিপদেও ফেলতে পারে। তাই দৈনিক মিষ্টিমুখে থাক কড়া নজরদারি।
শরীরচর্চা করুনঃ অতিরিক্ত শর্করা খাওয়ার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়ে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে। উদ্বেগ ও অবসাদ বেড়ে চলে ক্রমাগত। এর সঙ্গে লড়তে আপনার ভরসা হতে পারে শরীরচর্চা। পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পায়ে হাঁটুন দীর্ঘ পথ। পাশাপাশি যোগব্যায়ামও চলুক নিয়মিত। এর ফলে মিষ্টি খাওয়ার মাত্রা পুষিয়ে যাওয়ার সঙ্গে জীবনযাত্রার মানও অনেকটা উন্নত হবে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy