ডিটক্স পানীয় হিসাবে গ্রিন টি-র সুনাম আছে। দুপুর বা বিকেলে এক কাপ গ্রিন টি অনেকের জন্যই উপকারী হতে পারে। শরীরে নানা রকম ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করে এই চা। কিন্তু এত সব উপকার সত্ত্বেও এটি সকলের জন্য উপযুক্ত নয়। কারণ গ্রিন টি-তে আছে ক্যাফেইন, ট্যানিন ও ক্যাট্যাচিন। তাই অতিরিক্ত পান করলে মাথাব্যথা, হজমের সমস্যা ও ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
গ্রিন টি-র কিছু উপকারিতা:
১.অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ: শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যাল কমায়, বার্ধক্য বিলম্বিত করে।
২.হার্ট ভাল রাখে: কোলেস্টেরল ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৩.ওজন কমাতে সহায়ক: মেটাবলিজম বাড়ায়, চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
৪.ত্বক ও চুলের যত্নে উপকারী: ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে, ব্রণ কমাতে সাহায্য করে ও চুল মজবুত করে।
৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৬.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ঠান্ডা লাগা-কাশি, সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
গ্রিন টি-র অপকারিতা:
১. পেটের সমস্যা বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স: পাকস্থলীতে অস্বস্তি বা আলসার থাকলে গ্রিন টি এড়িয়ে চলা উচিত।
২.ঘুমের সমস্যা: এতে ক্যাফেইন থাকে, বেশি খেলে অনিদ্রা হতে পারে। গভীর রাতে খেলে ঘুম ভাল হয় না।
৩. আয়রন শোষণে বাধা: খাবারের সঙ্গে এই চা পান করলে শরীর আয়রন কম শোষণ করতে পারে। অতিরিক্ত সেবনে হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা হতে পারে।
৪. অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী: দিনে দুই কাপের বেশি গ্রিন টি খাওয়া নিরাপদ নয়। ক্যাফেইন শিশুর উপরে প্রভাব ফেলতে পারে।
৫. শিশু: শিশুদের স্নায়ুতন্ত্র সংবেদনশীল, তাই গ্রিন টি তাদের জন্য ঠিক নয়।
সঠিক নিয়মাবলী: দিনে ২-৩ কাপের বেশি নয়। খাওয়ার ৩০–৪০ মিনিট পরে গ্রিন টি পান করুন। খালি পেটে বা রাতে শোওয়ার আগে পান না করাই ভাল।
অনেকে ডায়েট মেনে গ্রিন টি পান করেন। এই চা সাধারণ ভাবে শরীরের জন্য উপকারী হলেও, সংবেদনশীল, অন্তঃসত্ত্বা, শিশু বা নির্দিষ্ট অসুখে আক্রান্তদের এই চায়ের কার্যকারিতা ও প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরি।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।