পুজো তো প্রায় এসেই গেল। পোশাক থেকে শুরু করে সাজসজ্জা, সব কিছু নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে যে বলা যেতে পারে। তবে পুজোতে কী কেশসজ্জা করবেন ভেবেছেন? বাধ সাধছে উস্কোখুস্কো চুল? সমস্যা নেই। চুল বাঁধার সময় সামান্য কিছু কারসাজিতেই বাগে আনা যাবে ‘অবাধ্য’ চুলকে। পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ার আগে কী ভাবে নিজের চুলকে পুষ্টি জোগাবেন, সেই নিয়েও রইল টিপ্স।
রাতে ঘুরতে যাওয়া। সকালে একপ্রস্থ শ্যাম্পু না হলে চলে? অথচ স্নান সেরে বেরোতেই রুক্ষ চুলের গোছা! এই সমস্যার চটজলদি সমাধান একটাই। তা হল ‘হেয়ার মাস্ক’। ইন্টারনেট ঘাঁটলে সহজেই নিজের চুলের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত ‘হেয়ার মাস্ক’ পেয়ে যাবেন। শ্যাম্পু করার পর সেটি চুলের মাঝ বরাবর অংশ থেকে একদম ডগা পর্যন্ত লাগিয়ে কিছু ক্ষণ রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলতেই দেখবেন তুলনায় অনেকটাই মসৃণ এবং কোমল হয়েছে চুল। তবে ভুলেও গোড়ায় লাগানোর কথা ভাববেন না।
চুল বাঁধার সময় যদি উস্কোখুস্কো চুল বাগে না আনা যায়, তা হলে ‘হেয়ার স্প্রে’ ব্যবহার করতে পারেন। যদিও এর ঘন ঘন ব্যবহারও চুলের ক্ষতি করতে পারে। এটি অগোছালো চুলকে এক জায়গায় পরিপাটি করে রাখতে সাহায্য করে।
চুলের ডগার কিছুটা অংশ সামান্য কেটে নিন। এতে নষ্ট হয়ে যাওয়া অথবা রুক্ষ চুল বাদ চলে যাবে।
এ তো গেল সাময়িক উপায়। কিন্তু চুলের গোড়ার সমাধান সূত্র লুকিয়ে গোড়াতেই। আজকের দিনে চুলে তেল মালিশের রেওয়াজ তো উঠেই গিয়েছে প্রায়। জানেন কি, মসৃণ চুলের জন্য নারকেল তেলের মতো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ার খুব কমই আছে? নারকেল তেল উষ্ণ গরম করে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত আলগা ভাবে মালিশ করুন। উস্কোখুস্কো চুলের হাল ফিরবে।
চুল রুক্ষ হওয়ার প্রধান কারণ হল ‘হিট স্টাইলিং’। অর্থাৎ অতিরিক্ত পরিমাণে হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেটনারের ব্যবহার, এগুলি চুলের আর্দ্রতাকেই নষ্ট করে দেয়। যতটা সম্ভব এই সব যন্ত্রপাতি দূরেই রাখুন চুলের থেকে।
কেবল বাহ্যিক যত্নই নয়, খাওয়া-দাওয়ার উপরেও নির্ভর করে অনেক কিছু। বাইরে থেকে পরিচর্যার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার পেটে যাওয়াও জরুরি। প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাওয়ার, দিনে অন্তত একটা করে মরসুমি ফল এবং অতিরিক্ত পরিমাণে জলপান রুক্ষ চুলের হাল ফেরাতে সাহায্য করবে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।