পুজোর মরসুমে রূপচর্চার হিড়িক তো আছেই। চলছে চুলের পরিপাটিও। কেউ ‘হিট স্টাইলিং’ করছেন তো কেউ সাজিয়ে তুলছেন বাহারি রঙে। এ ক্ষেত্রে যদিও দামি ব্র্যান্ডের রং বেছে নেওয়াই ভাল। কিন্তু যতই দামি রং হোক না কেন, কিছু সপ্তাহ পর চুলের গোড়া থেকেই উঁকি দেয় সাদা চুল। এত ঘন ঘন রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে যদি চুলের উপর অত্যাচার করা হয়, তা হলে চুলও তো ছেড়ে কথা বলবে না!
চুলের রঙের মধ্যে অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের মতো রাসায়নিক থাকে। বার বার চুলে রং করালে চুলের ঘনত্ব ও উর্বরতা উভয়ই নষ্ট নয়। চুলের মধ্যে থাকা প্রোটিন ও পুষ্টির পরিমাণ কমতে থাকলে চুল শুষ্ক হয়ে পড়ে ক্রমশ।
চুল ঝরে পড়া ও ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
মাথার ত্বক যদি স্পর্শকাতর হয়, তা হলে তো কোনও কথাই নেই। এই রাসায়নিক যেন ‘বিষ’-এর সমান। এ ছাড়া মাথার ত্বকে অ্যালার্জি হওয়ারও সম্ভাবনা বেশি।
অনেক সময় আবার চুলের রং থেকে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির মতো সমস্যাও দেখা দেয়। এমনকী ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতে মহিলাদের চুলে রং করা থেকে সাধারণত বিরত থাকতেই বলেন চিকিৎসকরা।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।