পুজোর ভিড়ভাট্টা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠাকুর দেখা আর আড্ডা, সবই জমে ওঠে সাজে-গন্ধে। সাজ তো হল, কিন্তু সুগন্ধীর প্রভাব যদি মাঝরাস্তাতেই গায়েব হয়ে যায়, তখন মেজাজ যাবে খিঁচড়ে। অথচ সহজ কিছু নিয়ম মেনে চললেই উৎসবের দিন-রাতে প্রিয় সুবাস দীর্ঘ সময় টিকিয়ে রাখা যায়।
- সুগন্ধীর বোতলের সিল খুললেই তার আয়ু শুরু হয়। তাই বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানের জন্য কেনা থাকলে সিল খোলার দিনটাও হিসেব করে নিন।
- স্নানঘর সুগন্ধী রাখার জায়গা নয়। আর্দ্রতায় গন্ধ দ্রুত উবে যায়।
- বোতলের ঢাকনা খোলা রাখবেন না। অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসলেই গন্ধ ফিকে হয়ে আসে।
- আলো আর রোদ সুগন্ধীর শত্রু। বাক্সে ভরে অন্ধকার জায়গায় রাখলে দীর্ঘস্থায়ী হয়।
- বেড়াতে গেলে বড় বোতল নিয়ে ঝামেলা নয়। পকেট সুগন্ধীই সেরা সমাধান, সুবাসও থাকবে অক্ষত।
- কাপড়ে ছেটানোর সময়ে বোতল ৬-৮ ইঞ্চি দূরে রাখুন। সমান ভাবে বসবে, দাগও পড়বে না।
- রুমাল বা তুলোয় সুগন্ধী ছিটিয়ে কাপড়ের সঙ্গে রাখলে সেই সুবাস ধীরে ধীরে ছড়িয়ে টিকে থাকে।
- স্প্রে করার পরে কাপড় ঘষবেন না। এতে আসল সুগন্ধ চলে যায়।
- ময়শ্চারাইজারের উপর স্প্রে করলে সুগন্ধ আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়। ত্বকের মতো কাপড়ও যদি মসৃণ হয়, সুবাস বেশি দিন থাকে।
- একেবারে শেষ টিপ্স— বাড়তি সুবাসের জন্য অতিরিক্ত স্প্রে নয়। সঠিক কৌশলেই গন্ধ বাজিমাত করে।
পুজোর পাঁচ দিনে ভিড়, উচ্ছ্বাস আর ব্যস্ততার মাঝেও টিকিয়ে রাখুন নিজের সুগন্ধী উপস্থিতি। কারণ ঠাকুর দেখা শেষ হলেও, সুবাস থেকে গেলে মনে থাকবে সাজের আসল ছাপ।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।