দুর্গাপুজো মানেই আনন্দ, আড্ডা আর রাতভর ঠাকুর দেখা। তবে, এই সময় রাত জেগে ঘোরাঘুরির পরে সুস্থ থাকা এবং স্ট্যামিনা বজায় রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। রইল কিছু জরুরি টিপস এবং পরামর্শ, যা আপনাকে সারা রাত দেদার টইটইয়ের পরেও ফিট থাকতে সাহায্য করবে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম
শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাতে ঠাকুর দেখার পরে দিনে অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিন। এক বারে এতক্ষণ ঘুমোনো সম্ভব না হলে দিনের বেলা কয়েকটা ভাগে ভাগ করে ঘুমিয়ে নিন। এতে আপনার শরীর কিছুটা চাঙ্গা থাকবে।
হাইড্রেটেড থাকা
সারারাত ঘোরাঘুরি করার সময়ে শরীর খুব দ্রুত ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। তাই প্রচুর পরিমাণে জল পান করা খুবই জরুরি। শুধু সাধারণ জল নয়, সেই সঙ্গে ডাবের জল, লেবুর জল বা ফলের রস পান করতে পারেন। সফট ড্রিঙ্কস বা প্যাকেজড জুস এড়িয়ে চলুন। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে।
স্বাস্থ্যকর খাবার
পুজোর সময়ে ভাজাভুজি বা স্ট্রিট ফুড খাওয়ার প্রবণতা থাকে। তবে স্ট্যামিনা ধরে রাখতে হলে তেল-মশলাযুক্ত খাবার কম খেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন - ফল, সবজি, স্যুপ, স্যালাড বা ঘরে তৈরি হালকা খাবার খেতে পারেন। এতে আপনার হজমশক্তি ঠিক থাকবে এবং শরীর হালকা লাগবে।
এনার্জি ড্রিঙ্কস
ক্লান্ত লাগলে চা বা কফি না খেয়ে এনার্জি ড্রিঙ্কস, যেমন - ডাবের জল, ঘোল বা তাজা ফলের রস পান করতে পারেন। এগুলি শরীরের এনার্জি লেভেল ঠিক রাখে এবং তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়।
হালকা শারীরিক ব্যায়াম
পুজোর ক'টা দিন জিম বন্ধ থাকলেও খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে হালকা জগিং, স্ট্রেচিং বা যোগব্যায়াম করতে পারেন। এতে আপনার শরীর চাঙ্গা থাকবে এবং মনও সতেজ থাকবে।
আরামদায়ক পোশাক ও জুতো
রাতভর হাঁটাহাঁটির জন্য আরামদায়ক পোশাক এবং জুতো পরা উচিত। এতে পা ব্যথা বা শরীরের ক্লান্তি কিছুটা কম হবে। হাই হিল বা শক্ত জুতো না পরে আরামদায়ক জুতো বা স্যান্ডেল পরুন।
পুষ্টির পরিপূরক
যদি সম্ভব হয়, তা হলে ভিটামিন সি বা মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খেতে পারেন। তবে এগুলি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। এগুলি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।