পুজোর গন্ধ বাতাসে এখন স্পষ্ট। ক্যালেন্ডারের পাতায় লাল দাগ মানেই ব্যাগ গোছানোর পালা। পাহাড় হোক বা সমুদ্র, মনটা পালাই পালাই করছে, তাই তো? কিন্তু বেড়ানোর প্ল্যান করার সময়ে অনেক জরুরি কথাই বাদ পড়ে যায়। যেমন, বেড়াতে যাওয়ার সময়ে সঙ্গে প্রেসক্রিপশন রাখাটা কতটা জরুরি, সে কথাটাই বুঝিয়ে দিলেন চিকিৎসক আশিস মিত্র। সফর চলাকালীন কাস্টমস বা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হলে আপনার হাতের মুঠোয় এই প্রেসক্রিপশনই হয়ে উঠতে পারে আপনার ঢাল। তা ছাড়া, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় কোনও চিকিৎসককে আপনার স্বাস্থ্যগত ইতিহাস সহজে বোঝাতেও এটি সাহায্য করবে।
চিকিৎসক মিত্রের কথায়, “যাঁদের বেড়াতে যাওয়া রয়েছে, তাঁরা অবশ্যই বর্তমান ওষুধের প্রেসক্রিপশন নিয়ে বেরোবেন। বাইরে গিয়ে প্রেসক্রিপশন সঙ্গে না থাকলে আচমকা অসুস্থতায় স্থানীয় চিকিৎসক ঠিক মতো বুঝতে পারবেন না কী হয়েছে।” শুধু তাই নয়, অনেক জায়গায় প্রেসক্রিপশন ছাড়া অনেক ওষুধই কিনতে পাওয়া যায় না।
আইনগত দিকও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ কিছু ওষুধ, যেমন পেনকিলার, ঘুমের ওষুধ, মনোরোগের ওষুধ বা সংক্রামক রোগের ওষুধ— এ সব সঙ্গে থাকলে প্রেসক্রিপশনও থাকা বাধ্যতামূলক। নইলে বিমানবন্দর বা কাস্টমস চেক-ইন কাউন্টারে অস্বস্তির মুখে পড়তে হবে।
চিকিৎসক আশিস মিত্রের মতে, ছুটি হঠাৎ বেড়ে গেলে বা পরিকল্পনা পাল্টে গেলে প্রেসক্রিপশন ছাড়া প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া অসম্ভব হতে পারে। তাই অন্তত দু'সপ্তাহের অতিরিক্ত ওষুধ সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, আপৎকালীন পরিস্থিতি সামাল দিতে আগে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি কিছু জরুরি ওষুধও সঙ্গে রাখা যেতে পারে। সর্দি, জ্বর বা অন্য ছোটখাটো সমস্যায় এগুলি কাজে লাগতে পারে। অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনা করে নিতে হবে।
শেষে মনে রাখা জরুরি, প্রেসক্রিপশনে যেন ডাক্তারের স্বাক্ষর, ওষুধের নাম এবং রোগীর রোগের বিবরণ স্পষ্ট ভাবে লেখা থাকে। হাতে লেখা প্রেসক্রিপশন ইংরেজিতে হলে ভাল, এতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সুবিধা হবে। অতিরিক্ত পরিমাণ ওষুধ সঙ্গে থাকলে তা ঘোষণা করা জরুরি এবং হ্যান্ডব্যাগে রাখা উচিত। তা হলে প্রশাসনিক জটিলতা এড়ানো সহজ হবে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।