প্রতীকী ছবি।
পুজোর সময়ে বাড়িতে বন্ধুরা আসবেন? বাকি বাড়ি সাজানোর পরিকল্পনা তো করে ফেলেছেন, চানঘর নিয়ে কি চিন্তিত? ভাবছেন, কী করে চানঘরের চেহারাটাও আমূল বদলে ফেলবেন? তা হলে আপনাকে সাহায্য করতে পারে গাছ।
পুজোয় চানঘরে কয়েকটি গাছ বসিয়ে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন অতিথিদের। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি বিষয়।
• পুজোর পরেই বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমতে শুরু করবে। দিনের আলোর মাত্রাও কমে যাবে। তাই এমন গাছ চানঘরে রাখতে হবে, যেগুলি এই পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে।
• পুজোর সময়ে মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে বেরোবেন। সময়ের ঠিক ঠিকানা থাকবে না। চানঘরের গাছগুলিরও ঠিক করে যত্ন নেওয়া হবে না। তাই এমন গাছই চানঘরে রাখুন, স্বল্প যত্নেও যেগুলি বেঁচে থাকবে।
এ বার দেখে নেওয়া যাক পুজোর সময়ে চানঘরে কোন কোন গাছ রাখতে পারেন।
অ্যালোভেরা: খুব পরিচিত গাছটি নানা রকম পরিবেশে অতি সহজে বেঁচে থাকতে পারে। বাতাস পরিশুদ্ধও করতে পারে। বারান্দার বদলে এই গাছ রাখুন চানঘরে।
স্নেক প্ল্যান্ট: ঘরের ভিতরে রাখার আদর্শ গাছ। পুজোর সময়ে একেও রাখতে পারেন চানঘরে। হলুদ এবং সবুজ পাতার গাছটি আর্দ্র পরিবেশে ভাল ভাবে বাঁচবে। ক’দিন যদি বাড়িতে না থাকেন, তা হলেও চিন্তা নেই। দিব্যি বেঁচে থাকবে গাছটি।
মানি প্ল্যান্ট: মাটিও লাগে না। শুধুমাত্র জলেই বেঁচে থাকতে পারে এই গাছ। কাচের পাত্রে জল রেখে, তার মধ্যে গাছের গোড়া ডুবিয়ে রেখে দিন। পুজো তো বটেই, গোটা শীতকালও বেঁচে থাকবে গাছ। চানঘরের চেহারাও বদলে যাবে।
স্পাইডার প্ল্যান্ট: এই গাছের একটু আর্দ্র পরিবেশ দরকার। চানঘর তার জন্য আদর্শ জায়গা। তবে দীর্ঘ দিন বাড়িতে না থাকলে, এর একটু অসুবিধা হতে পারে। তখন চানঘর থেকে বার করে বারান্দা বা আলো আসে, এমন কোনও জায়গায় রেখে যেতে পারেন।
বাম্বু প্ল্যান্ট: বেসিনের পাশে কোন গাছ রাখবেন বুঝতে পারছেন না? তা হলে ছোট ছোট বাঁশ গাছ রাখতে পারেন। বিশেষ চিনা বাঁশ এ জন্য একেবারে আদর্শ। টবেই বেঁচে থাকতে পারে এগুলি। ঝোপের মতো ঘনও হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy