Advertisement
kali Puja 2022

মা কালীর বিসর্জনের পরেও কেন রেখে দেওয়া হয় খাঁড়া, কী বলছে পুরাণ?

আদ্যাশক্তি মহামায়ার শক্তি হল খড়্গ। এই অস্ত্রেই দেবী সমস্ত অশুভের বিনাশ করেন। বিসর্জনের পরেও রেখে দেওয়া হয় খাঁড়া। কেন? ব্যাখ্যা করলেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী।

আনন্দ উৎসব
শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২২ ১৯:৩৬
Share: Save:
০১ ০৭
বিসর্জনের নিয়ম অনুযায়ী, সব কিছু বিসর্জন দেওয়ারই রীতি। শাস্ত্রও তাই বলে। দেবী কালী যদি গৃহদেবী না হন, তা হলে মৃন্ময়ী মূর্তি বিসর্জন দেওয়ার রীতি শাস্ত্রে রয়েছে।

বিসর্জনের নিয়ম অনুযায়ী, সব কিছু বিসর্জন দেওয়ারই রীতি। শাস্ত্রও তাই বলে। দেবী কালী যদি গৃহদেবী না হন, তা হলে মৃন্ময়ী মূর্তি বিসর্জন দেওয়ার রীতি শাস্ত্রে রয়েছে।

০২ ০৭
পুজোর পরে অনেকেই মূর্তি বিসর্জন দিতে চান না। এক বছর সেই প্রতিমা রেখে দেওয়া হয়, পরের বছর নতুন মূর্তি এলে তা বিসর্জন হয়।

পুজোর পরে অনেকেই মূর্তি বিসর্জন দিতে চান না। এক বছর সেই প্রতিমা রেখে দেওয়া হয়, পরের বছর নতুন মূর্তি এলে তা বিসর্জন হয়।

০৩ ০৭
খড়্গকে দেবী কালীর শক্তির আধার হিসেবে ধরা হয়। শ্রী বিষ্ণুর প্রতীক যেমন সুদর্শন চক্র, তেমনই দেবী কালীর শক্তিরূপের প্রতীক হল এই খড়্গ বা খাঁড়া। ‘শ্রী চণ্ডী’তে বলা হয়েছে, ‘খড়্গ আমাদের রক্ষা করুক।’

খড়্গকে দেবী কালীর শক্তির আধার হিসেবে ধরা হয়। শ্রী বিষ্ণুর প্রতীক যেমন সুদর্শন চক্র, তেমনই দেবী কালীর শক্তিরূপের প্রতীক হল এই খড়্গ বা খাঁড়া। ‘শ্রী চণ্ডী’তে বলা হয়েছে, ‘খড়্গ আমাদের রক্ষা করুক।’

০৪ ০৭
কালী পুজোর পরে প্রতিমা বিসর্জন হলেও তার হাতের খাঁড়াটি বাড়িতে রেখে দেন অনেকেই। তার নেপথ্যে শক্তি রূপে স্বয়ং দেবীকে ঘরে রেখে দেওয়ার ভাবনা। ম়ৃন্ময়ী রূপকে বিসর্জন দিলেও দেবীর শক্তি রূপ খড়্গ বাড়িতেই থেকে যায়।

কালী পুজোর পরে প্রতিমা বিসর্জন হলেও তার হাতের খাঁড়াটি বাড়িতে রেখে দেন অনেকেই। তার নেপথ্যে শক্তি রূপে স্বয়ং দেবীকে ঘরে রেখে দেওয়ার ভাবনা। ম়ৃন্ময়ী রূপকে বিসর্জন দিলেও দেবীর শক্তি রূপ খড়্গ বাড়িতেই থেকে যায়।

০৫ ০৭
পুরাণ মতে, দেবী কালী এই খড়্গর মধ্যে শক্তিরূপে বিরাজ করেন। সন্তানদের সব বিপদ থেকে রক্ষা করেন সে ভাবেই।

পুরাণ মতে, দেবী কালী এই খড়্গর মধ্যে শক্তিরূপে বিরাজ করেন। সন্তানদের সব বিপদ থেকে রক্ষা করেন সে ভাবেই।

০৬ ০৭
অনেকেই খাঁড়া ধোয়া জল খান। এই জল মায়ের চরণামৃতের মতোই। ভক্তদের বিশ্বাস, এই জল খেলে রোগ-রিপু-জরা থেকে দূরে থাকা যায়।

অনেকেই খাঁড়া ধোয়া জল খান। এই জল মায়ের চরণামৃতের মতোই। ভক্তদের বিশ্বাস, এই জল খেলে রোগ-রিপু-জরা থেকে দূরে থাকা যায়।

০৭ ০৭
এমনকি, এই খাঁড়া ধোয়া জল নাকি অনেক কঠিন রোগ থেকেও সারিয়ে তোলে। দেবী কালীর খাঁড়া ধোয়া জল দেহে শক্তির সঞ্চার করে। সেই শক্তিই সব প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে আমাদের সুস্থ রাখে।

এমনকি, এই খাঁড়া ধোয়া জল নাকি অনেক কঠিন রোগ থেকেও সারিয়ে তোলে। দেবী কালীর খাঁড়া ধোয়া জল দেহে শক্তির সঞ্চার করে। সেই শক্তিই সব প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে আমাদের সুস্থ রাখে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE