প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner

শুধু উমার বিদায়বেলা নয়, একদা বিজয়া দশমীই ছিল বাঙালির নববর্ষ

দশমীতে দেবী ফেরেন কৈলাসে। মেয়ে চলে যাচ্ছে। দুঃখের দিন। কিন্তু এমন একটি বিষাদভরা দিনে মিষ্টিমুখ, কোলাকুলির রেওয়াজ যুক্ত হল কী ভাবে?

সৌভিক রায়

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৫ ১২:১৪
প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

নবমীনিশি পেরিয়ে পূর্ব দিগন্ত নবারুণের আভায় রেঙে ওঠা মানেই দেবীর বিদায়ের পালা আগত। বঙ্গে উমা বিদায়ের দশমী কি কেবল বিষাদের উৎসব? বাঙালি দুর্গাকে কন্যা রূপে আরাধনা করে। চার দিনের আবাহন ও পুজো শেষে বাড়ির মেয়ে ফিরে যান স্বামীগৃহে। মেয়ের বিদায় সতত দুঃখের। অপরাজিতা পুজো মিটিয়ে মিষ্টি-পান-সুপারি-সিঁদুর সহযোগে দেবীকে বরণ করে বিদায় জানানো হয়। ঘট-তিরকাঠি নাড়িয়ে দেন ঠাকুরমশাই। প্রথা মতো দর্পণেই দেবীর বিসর্জন হয়ে যায়। বিসর্জনের পরে চলে বিজয়ার পালা। অর্থাৎ, মিষ্টি-মুখ, কোলাকুলি, গুরুজনদের প্রণাম করে আশীর্বাদ চেয়ে নেওয়া, তাঁদের স্নেহের পরশ পাওয়া।

উমা-বিদায়ের তিথি দুঃখের, তা হলে কেন এই কোলাকুলি আর মিষ্টি মুখের আয়োজন?

উত্তর রয়েছে বেদের কালে। ঋগ্বেদের সময়ে এক শরৎ থেকে আর এক শরতে বছর গণনা করা হতো। শরৎ ঋতুতেই বছর আরম্ভ হতো। তখন দীর্ঘায়ু কামনায় বলা হতো, ‘জীবেম শরদ শতম’। যা আজকের যুগের শতায়ু কামনায় পরিণত হয়েছে। বিজয়া দশমী ছিল শরৎ বর্ষের প্রথম দিন, অর্থাৎ বিজয়া দশমী নববর্ষের প্রথম দিন অর্থাৎ বর্ষ আরম্ভের উৎসবের দিন। এই দিন আত্মীয়-পরিজনদের নিয়ে আনন্দ-আহ্লাদে, খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করার নিয়ম ছিল। মনে করা হতো, বছরের প্রথম দিন ভাল কাটলে সারা বছর ভাল যাবে। এই দিনটিতে প্রার্থনা করা হতো ‘নববর্ষে সকলের বিজয় হউক’। এখানে দশমীর বিজয়া অভিধা পাওয়ার একটি কারণ খুঁজে পাওয়া যায়। সম্ভবত বিজয় কামনা থেকে তিথিটি বিজয়া দশমী নাম পেয়েছে।

বৈশাখে নববর্ষের সৃষ্টি আর্থিক ও ব্যবসায়িক কারণে। জমিদার, ভূস্বামীদের রাজস্ব আদায়ের জন্যে তার প্রচলন ঘটেছিল। অগ্রহায়ণে নবান্ন হল কৃষকদের। বর্ধমানের কিছু অঞ্চলের কৃষকরা আবার আষাঢ়ে নববর্ষ পালন করেন। বাঙালির নববর্ষ ছিল বিজয়া দশমী। সেই নববর্ষ অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও রয়ে গিয়েছে তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সামাজিক আচারগুলি। দেবী দুর্গার নিরঞ্জনের পরে প্রণাম, আশীর্বাদ, কোলাকুলি, মিষ্টি-মুখের মতো রীতিগুলো আজও যেন সেই হারিয়ে যাওয়া নববর্ষের স্মৃতি বহন করছে।

‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy