প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner

কেবল মহিষাসুর নয়, দুর্গার হাতে বধ হয়েছিল আরও ভয়ঙ্কর অসুরেরা, জানেন তারা কারা?

দেবী দর্শনে ভিড় জমছে মণ্ডপে মণ্ডপে। কিন্তু জানেন কি, মহিষাসুর ছাড়াও আরও অসুরের নিধন করেছিলেন মা দুর্গা?

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:১৩
প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গিয়েছে! ইউনেস্কোর হেরিটেজ-এর তকমা পাওয়া এই উৎসবের ক’টা দিন শহর থেকে গ্রাম— সব যেন আলোর মালায় সেজে উঠেছে। ঢাকের বাদ্যি আর অঞ্জলির সুর মিশে একাকার। জমিয়ে ঠাকুর দেখার পালা চলছে পুরোদমে। এই মহা-আনন্দের মাঝেও, প্রতিমার দিকে তাকালেই নজরে আসে একটি পরিচিত দৃশ্য— দেবীর হাতের ত্রিশূল গাঁথা রক্তাক্ত মহিষাসুরের বুকে। কিন্তু পুরাণ ঘাঁটলে জানা যায়, শক্তিরূপিণী দেবী দুর্গা শুধু মহিষাসুরমর্দিনী নন, আরও অনেক ভয়াল অসুরকে নিধন করে শুভশক্তির জয় নিশ্চিত করেছিলেন, জেনে নেওয়া যাক তারা কারা।

মহিষাসুরেরও আগে যাদের নিধন করেছিলেন দেবী: মধু ও কৈটভ

ভগবত পুরাণ অনুসারে কথাটি শুরু হয় বিষ্ণুর দুই কানের ময়লা থেকে জন্ম নেওয়া দুই অসুরকে দিয়ে। নাম মধু ও কৈটভ। উচ্চাকাঙ্ক্ষী এই দুই অত্যাচারী অসুর বেদের জ্ঞান হরণ করে নেয়। স্বয়ং বিষ্ণু হাজার বছর ধরে যুদ্ধ করেও তাদের পরাজিত করতে পারেননি। তখন দেবতাদের অনুরোধে আদিশক্তি মহামায়া রূপে অবতীর্ণ হন। যদিও এখানে দেবী অস্ত্র ধারণ করেননি, কিন্তু নিজের মায়াজাল বিস্তার করে দুই অসুরকে এমন মোহাচ্ছন্ন করে ফেলেন যে, তারা নিজেরাই নিজেদের হত্যার পথ সহজ করে দেয়। মায়া ও বুদ্ধির খেলায় এভাবেই তাদের নিধন হয়।

ভয়ংকর 'রক্তবীজ'-এর গল্প

তবে দেবী দুর্গার শত্রুদের মধ্যে ভয়ালতমের নাম নিতে হলে আসে রক্তবীজের কথা। ব্রহ্মার বরে সে ছিল এক রকম অমর। কারণ তার এক ফোঁটা রক্ত মাটিতে পড়লেই জন্ম নিত হুবহু একই রকম হাজার হাজার রক্তবীজ! দুর্গা যখনই একজন রক্তবীজকে বধ করেন, তার রক্ত থেকে জন্ম হতে থাকে অগুনতি নতুন অসুর। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে দেবী তখন নিজের শক্তি দিয়ে সৃষ্টি করেন দেবী কালিকাকে। সে এক ধ্বংসাত্মক রূপ! নারীশক্তির সেই চরম প্রকাশে দেবী কালী রক্তবীজের রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই পান করে নিতে শুরু করেন। এ ভাবেই তার বংশবৃদ্ধি বন্ধ হয় এবং রক্তবীজের বিনাশ ঘটে।

ব্রহ্মার বরপ্রাপ্ত শুম্ভ-নিশুম্ভ

স্বর্গ-মর্ত্য কাঁপানো আরেক জুটি হল শুম্ভ ও নিশুম্ভ। কঠোর তপস্যায় এরা ব্রহ্মাকে তুষ্ট করে এই বর আদায় করেছিল যে, কোনও দেবতা, মানুষ বা দানব তাদের বধ করতে পারবে না। বরের দম্ভে তারা স্বর্গ অধিকার করে দেবতাদের বিতাড়িত করে দেয়। দেবতাদের আর্তি শুনে দুর্গা অবতীর্ণ হন। তাঁর রূপে মোহিত হয়ে চণ্ড ও মুণ্ড নামে শুম্ভ-নিশুম্ভের দুই অনুচর দেবীকে হরণ করতে এলে, দেবী তাদের বধ করেন। দেবীকে হরণ করে আনতে ধূম্রলোচন নামে এক অসুরকে পাঠানো হয়। তারও বিনাশ ঘটে দেবীর হাতে। শেষ পর্যন্ত, শুম্ভ ও নিশুম্ভ নিজেরাই আসে— প্রথমে নিশুম্ভ এবং তার পর শুম্ভের বুকে ত্রিশূল গেঁথে তাদেরও বধ করেন দেবী।

‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

Goddess Durga
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy