বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তবে বলা ভাল, দুর্গাপুজোর সময় থেকেই পুজোর মরশুম শুরু হচ্ছে। মা দুর্গার বেশির ভাগ প্রতিমা আকারে সাধারণত বড় হয়। ফলে বির্সজন দিয়ে দেওয়া হয়। কিংবা পুজো মণ্ডপেই মূর্তি জল দিয়ে মাটি গলিয়ে দেওয়া হয়। ছোট প্রতিমা গুলিকে বা পুজো পাওয়া দেব-দেবীর ছবিকে অনেক সময় গাছের তলায় রেখে দিয়ে আসার রীতি আছে। জানেন কি, কেন এই রীতির চল আছে?
আমরা বাড়ি তৈরির সময় ঠাকুরের জন্য আলাদা স্থান বানাই। বিশ্বাস করি, দেবতার উপস্থিতি আমাদের মধ্যে একটা ইতিবাচক শক্তি জোগায়। ধর্মীয় মতেও বলা হয়, একটি ঘর, বাড়ি হয়ে ওঠে ভাল শক্তি কাজ করার ফলেই।
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে ঠাকুর ঘর বানানো হয়। শুধু ঠাকুর ঘর বানালেই যে কাজ শেষ, তা নয়। এটাও খেয়াল রাখতে হবে বাড়িতে রাখা প্রতিমা বা ছবি যেন কোনও ভাবে ভেঙে বা ছিঁড়ে না যায়। এই রকম হলে বাস্তুবিদরা বলেন, তাতে পরিবারের অমঙ্গল হয়। এই জন্য এই ধরনের মূর্তি ঘর থেকে সরিয়ে ফেলতে হয়। তবে তারও একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে।
হিন্দুশাস্ত্রয় বট গাছকে পবিত্র মানা হয়। তাই ক্ষতিগ্রস্ত মূর্তি বা ছেঁড়া দেব-দেবীর ছবি গুলোকে বট গাছের তলায় রেখে আসা হয়। এ ছাড়া কিছু পরিবারে এমনও রীতি আছে, তারা পুজো পাওয়া মূর্তি ভাসান না দিয়ে বট গাছের তলায় রেখে আসেন। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরিবারে নানা ধরনের গল্প কথা থাকে। তার অনেক স্বপ্নাদেশ ইত্যাদি সংক্রান্ত।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy