প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner

রেডিয়ো-ক্যাসেট অতীত, অ্যালবামের ভিড়ে হারিয়ে গেল কি পুজোর গান? কী বলছেন রাঘব-জোজো?

রেডিয়ো-ক্যাসেটের দিন ফুরিয়েছে কবেই। টিভির পর্দা অথবা ইয়ারফোনে শোনা পুজোর গানে আদৌ রয়েছে আগের নির্যাস? কী বলছেন রাঘব চট্টোপাধ্যায় এবং জোজো মুখোপাধ্যায়?

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৪৯
সংগৃহীত চিত্র।

সংগৃহীত চিত্র।

উৎসবের মাস। আশ্বিনের রোদ আর আকাশের পেঁজা তুলো জানান দিচ্ছে, পুজো প্রায় চলেই এল। আছে নতুন জামা, নতুন সাজ, নতুন করে আগমনীর আমেজ। কিন্তু নতুন পুজোর গান? রেডিয়ো-ক্যাসেটের দিন ফুরিয়েছে কবেই। টিভির পর্দা অথবা ইয়ারফোনে শোনা পুজোর গানে আদৌ রয়েছে আগের নির্যাস?

সঙ্গীত শিল্পী রাঘব চট্টোপাধ্যায়ের মতে, কোনও জিনিস প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত হয়ে গেলে তাঁর মূল্য ফিকে হয়ে যায়। আনন্দবাজার ডট কমকে তিনি বলেন, “এটাই সাভাবিক। ছবির ক্ষেত্রেও আমার একই ধারণা। কখনও কখনও মনে হয়, অতিরিক্ত বেশি সিনেমা তৈরি হয়ে যাচ্ছে। একই ভাবে সারা বছরই কিছু না কিছু পুজোর গান আমাদের কানে আসছে। স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের আগ্রহটা কমে গিয়েছে।” গায়কের কথায়, “যে জিনিসের জন্য অপেক্ষা থাকে, সেই জিনিসকে ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই আগ্রহ বেড়ে যায়। সারা বছর যদি কোনও শিল্পীর গান মুক্তি পায়, তা হলে আলাদা করে মানুষ পুজোর জন্য বসে থাকবেন কেন?” বরং এর উল্টো পথেই হাঁটেন তিনি। রাঘব বলেন, “আমি বছরভর খুব বেশি গান বের করি না। প্রায় চার-পাঁচ মাস অন্তর আমার একটা গান মুক্তি পায়। পুজোর গান নিয়েও আমি খুব সচেতন থাকি।” অন্যান্য বছরগুলির মতো এই বছরও এর অন্যথা হয়নি। মুক্তি পেয়েছে শিল্পীর নতুন পুজোর গান, ‘শরৎ মেঘে নতুন আলো’। দুই কন্যার সুরে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। গায়ক বলেন, “এমন অনেক মানুষই আছেন যাঁরা এখনও পুজোর গানের আমেজটা উপভোগ করেন। তাঁরা হয়তো সারা বছর গান নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামান না কিন্তু পুজো আসলেই মনে করেন এই বার শিল্পীরা পুজোর গান নিয়ে হাজির হবেন। তাঁদের আমি অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি এবং তাঁদের জন্যেই গানটা বাঁধি।”

নতুন প্রজন্মকে স্বাগত জানাতে আপত্তি নেই জোজো মুখোপাধ্যায়েরও। গায়িকা বিশ্বাস করেন, পরিবর্তনই তো জীবনের অংশ! তিনি বলেন, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গানের ধারাটা বদলেছে। পুজোর গান যেমন আজও মুক্তি পাচ্ছে, তেমনই সেই গানের জন্য একটি বিশেষ জায়গা আজও মানুষের মধ্যে থেকে গিয়েছে। এখনও পুজোয় গান মুক্তি পেলে শ্রোতারা সাদরে গ্রহণ করেন।”

এই পরিবর্তনকেই কী ভাবে দেখছেন দুই শিল্পী। দীর্ঘদিনের কর্মজীবন রাঘব চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, “বিগত ১০-১২ বছরে গানের কথা আগের থেকে বেশি অনেক উন্নত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখেছিলাম গানের সুর খুব ভাল কিন্তু কথা খুবই সাদামাঠা এবং নিম্ন মানের। অথচ শিল্পীরা সেটিকে এমন ভাবে গেয়েছেন, তাতেই প্রশংসা কুড়িয়েছে সেই গানটি। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নবাগত অনেকেই খুব সুন্দর গান লিখছে। সুর দিচ্ছে…”

একই সুর জোজোর কণ্ঠেও। তিনি বলেন, “পরিবর্তন ছিল, আছে ও থাকবে। এটা একটা বৃত্ত। অনেকটা ফ্যাশনের মতো। নাম বদলে গেলেও একই সাজের ধরন বারে বারে ফিরে আসে। আমাদের পাশাপাশি অন্যান্য শিল্পী, যাঁরা নতুন গান লেখেন, সুর দেন, তাঁদের তো এই ভাবেই বাঁচিয়ে রাখতে হবে নিজেদের শিল্পকে। না হলে সবটাই নিঃশেষ।”

‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy