কালীপুজোয় ভূত দর্শন করতে চান? ঘুরে আসুন বাংলার এই নীল সাহেবের কুঠি থেকে!
কালীপুজো আসছে—এই সময়েই ভয়ের সঙ্গে রোমাঞ্চের সঙ্গ খুঁজে নিচ্ছেন অনেকে। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার মঙ্গলগঞ্জে মিলবে সেই সুযোগ, যেখানে ইতিহাস, জঙ্গল আর ভূতের গল্প এক সঙ্গে মিশে গিয়েছে।
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:২৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
কালীপুজো দরজায় কড়া নাড়ছে। শহরের ভিড়, শপিং, আলোয় ভরা রাতের মাঝেই অনেকেই খুঁজছেন একটু অন্য রকম পুজোর ছুটি। একে বারে অন্যরকম মানে—যেখানে ভয়ও আছে, মজা-ও আছে! এমনই এক গ্রাম, নদীর ধারে, জঙ্গলের পাশে—মঙ্গলগঞ্জ।
০২১০
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার অন্তর্গত ঘন জঙ্গলের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা এই কুঠি এখন এক অনন্য পর্যটনকেন্দ্র।
০৩১০
ইতিহাস বলছে, এক সময়ে এখানে ছিল ইংরেজদের নীলচাষের ঘাঁটি। দেশের স্বাধীনতার পর জমিদারি প্রথা শেষ হলেও থেকে যায় এই বাড়ি।
০৪১০
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, প্রায় ৬৪ বিঘা জমির উপর দাঁড়িয়ে এই নীলকুঠি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এক সময় ধ্বংস হতে বসেছিল। পরে এক পর্যটক নিজ উদ্যোগে মেরামতের চেষ্টা করেন।
০৫১০
রাতের আলো কমলে, জঙ্গলের ভেতরের রাস্তাটা দেখে যেন মনে হয় অন্য কোনও জগৎ।
০৬১০
এখন এখানে তৈরি হয়েছে বাঁশের কুটির, যেখানে রাত কাটানো যায়।
০৭১০
জোনাকির আলো, মশালের ঝলক, পায়রার উড়ে যাওয়া—সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতা যেন এক অন্য জগতে।
০৮১০
তবে নীলকুঠীর আরেকটি দিক ও রয়েছে। কথিত আছে, নীলকুঠীতে নাকি অশরীরীর আনাগোনা আছে। ভাগ্য ভাল না হলে তাদের দেখা মেলে। এ হেন ভূতের গল্প শুনতে নাকি শহর থেকে অনেকেই ছুটে আসেন মঙ্গলগঞ্জের এই জায়গায়।
০৯১০
ইছামতীর ঘাটে নামলেই মাঝির ডাক, নৌকা-বিহারে সূর্যাস্তের সঙ্গে শোনা যায় ভাটিয়ালী। সেই সুরেই মিশে থাকে গ্রামের গল্প।
১০১০
আর সামনে কালীপুজো—ভূত-রোমাঞ্চ-অলৌকিকের গল্পে মেতে ওঠার এর চেয়ে ভাল সময় আর কী হতে পারে! (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।