ঋষি অগস্ত্যের স্ত্রী অহল্যার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন দেবরাজ ইন্দ্র। ইন্দ্রদেব ঋষি অগ্যস্তের ছদ্মবেশে অহল্যাকে প্ররোচিত করতে উদ্যত হন। ঘটনাটি জানতে পেরে দেবরাজ ইন্দ্রকে অভিশাপ দেন অগস্ত্য মুনি। এই অভিশাপে দেবরাজ ইন্দ্রের সমস্ত দেহ সহস্র যোনিতে পূর্ণ হয়ে যায়। লজ্জিত ইন্দ্রদেব পলায়ন করে নিভৃতবাস শুরু করেন নয়নাতিভু দ্বীপে।
এখানে তিনি স্বহস্তে গড়েন এক দেবী মূর্তি এবং শুরু করেন কঠোর তপস্যা। মহাবিশ্বের রানী, ভুবনেশ্বরী আম্মান, ইন্দ্রের সামনে উদ্ভাসিত হন। ইন্দ্রদেব চরম ভক্তি, অনুশোচনা এবং অনুতাপ প্রদর্শন করলে দেবী তাঁকে ক্ষমা করেন এবং শাপমুক্ত করেন। দেবী তাঁর দেহের যোনিগুলিকে চোখের বলয়ে রূপান্তরিত করেন এবং তখন থেকেই ইন্দ্রদেব "ইন্দ্রাক্ষী" নামে পরিচিত হন।
নাগাদীপা দ্বীপটি শুধু নাগাপুশানি আম্মান মন্দিরের জন্য বিখ্যাত নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটির আরেকটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে, এখানে রয়েছে একটি বৌদ্ধ মন্দির, যাকে বলা হয় নাগদীপা পুরাণ বিহারায় । এই নাগদীপা বৌদ্ধ মন্দিরটি সেই ১৬টি স্থানের মধ্যে একটি যা ভগবান বুদ্ধ নিজে পরিদর্শন করেছেন। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy