—ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রেই আজ, মঙ্গলবারের ভোটে ১৪৪ ধারা জারি হবে বলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
কমিশন সূত্রের খবর, ভোটকেন্দ্রের ২০০ মিটারের বৃত্তে মধ্যে সেই ধারা কার্যকর থাকবে। ওই জেলার ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের একটি অংশ কলকাতা পুলিশের আওতায়। ওই কেন্দ্রেও একই নিয়মে ১৪৪ ধারা জারি হবে বলে নির্দেশ জারি করেছে কমিশন।
কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, হাওড়া, হুগলির ভোট কেন্দ্রগুলির প্রতিটি বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা থাকবে। এই দফার তিনটি জেলার ৩১টি কেন্দ্রের ভোটে ৫৫০৭টি বুথে ওয়েবকাস্টিং হবে। অর্থাৎ, সেই সব বুথের ভোটপ্রক্রিয়ার সম্প্রচারিত ভিডিয়ো চিত্র পৌঁছবে কমিশনের কন্ট্রোল রুমে। ওয়েবকাস্টিং ছাড়াও সিসিটিভি থাকবে ১৬৯৪টি বুথে এবং ভিডিয়ো তোলা হবে ৩২৬টি বুথ থেকে। এই তৃতীয় দফার ভোটে ৯১৪ জন মাইক্রো অবজারভারকে ভোট দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ড্রোন-নজরদারিও করা হবে। সাতগাছিয়া কেন্দ্রের বিদ্যানগর গার্লস স্কুলের বুথের ভোটপ্রক্রিয়ার রেকর্ড করা ভিডিয়ো দেখানো হবে ইচ্ছুক বিদেশি দর্শকদের।
একেক জন ভোটারের ভোটদানের সময় কিছুটা বাড়তে পারে বলে মনে করছে কমিশন। সূত্রের খবর, এই কথা ইতিমধ্যেই প্রিসাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বার সব বুথেই ভিভিপ্যাটে ভোট নেওয়া হচ্ছে। প্রিসাইডিং অফিসারদের অনেকেই জানাচ্ছেন, কন্ট্রোল ইউনিট থেকে ভোটারকে ভোটদানে ছাড়পত্র দেওয়ার পরে তিনি ভিভিপ্যাটের বোতাম টিপে ভোট দেবেন। কাকে ভোট দিয়েছেন, অন্তত সাত সেকেন্ড ধরে তা ভোটযন্ত্রের নির্দিষ্ট অংশে দেখতে পাবেন সেই ভোটার। যে দলকে তিনি ভোট দিয়েছেন, তার প্রতীকের ছাপ সম্বলিত স্লিপটি কেটে যন্ত্রের নির্দিষ্ট কক্ষে জমা হওয়ার পরে যান্ত্রিক শব্দ হবে। তা থেকেই বোঝা যাবে সংশ্লিষ্ট ভোটারের ভোটদান সম্পূর্ণ হল। এক প্রিসাইডিং অফিসারের বক্তব্য, ‘‘এই পদ্ধতিতে একেক জনের ভোটদানে অন্তত ১০ সেকেন্ড সময় লাগছে। তবে বিষয়টি অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত বলেই মনে হয়।’’
ভিভিপ্যাট নিয়ে অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। কমিশন তাতে আমল দিচ্ছে না। কমিশনের বক্তব্য, ভিভিপ্যাটের ইউনিটগুলির মধ্যে সংযোগ ঠিক মতো স্থাপিত না হলে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রথম দু’দফার ভোটে যে অভিযোগ ভিভিপ্যাট নিয়ে উঠেছিল, সে গুলির ক্ষেত্রে এই সমস্যাই হয়েছিল। ফলে এক জনের ভোট অন্য জায়গায় চলে যেতে পারে না। তা ছাড়া এ বার ভোট শুরুর আগে মহড়া ভোটের সময় আধ ঘণ্টা বাড়িয়ে দেড় ঘণ্টা করেছে কমিশন। সেই প্রক্রিয়ায় হাজির রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্টদের যন্ত্রের কার্যকারিতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট করে এবং তাঁদের সম্মতি নিয়ে ভোটগ্রহণের মূল পর্ব শুরু হচ্ছে। ফলে যন্ত্রের ত্রুটির তত্ত্ব খাটে না বলে জানাচ্ছে কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy