সিঙ্গুরে টাটার গাড়ি কারখানা হয়নি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ‘কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ’ স্লোগান কাজে লাগেনি। উল্টে কৃষক আন্দোলনের সাফল্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়কে ক্ষমতার অলিন্দে পৌঁছে দিয়েছে। বিজেপি তাই বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তাহারে কৃষি ও শিল্পকে যে দাঁড়িপাল্লায় রেখে ব্যালান্স করেছে।
রাজ্য কৃষি উন্নয়নে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি শিল্পোন্নয়নের লক্ষ্যে বিনিয়োগ টানার পরিকল্পনাও পেশ করেছে ইস্তাহারে। বলা হয়েছে, রাজ্যে গেরুয়াশিবির ক্ষমতায় এলে ‘সোনার বাংলা অর্থনৈতিক পুনর্জীবনে টাস্ক ফোর্স’ গঠন করা হবে। এর পাশাপাশি ‘ইনভেস্ট বাংলা’ নামে প্রকল্পের মাধ্যমে বিনিয়োগকারী টানতে উদ্যোগী হবে রাজ্য সরকার। শিল্পপতিদের আকৃষ্ট করতে ‘ওয়ান স্টপ সলিউশন’ নামে ব্যবস্থা তৈরির পরিকল্পনাও জানানো হয়েছে।
এ ছাড়াও ‘সহজতর ব্যবসা’ করা যায় এমন রাজ্যের তালিকায় বাংলাকে শীর্ষ ৩-এ নিয়ে আসার লক্ষ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাকে প্রথম ৫ বছরের জন্য প্রতি ইউনিট ২ টাকা দরে বিদ্যুৎ ছাড়াও ১০০ শতাংশ ক্রেডিট গ্যারান্টি কভার-সহ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামানত মুক্ত ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে স্টার্ট আপ ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রথম ৫ বছর কর মকুবের সুবিধা মিলবে।
রাজ্যে কী কী শিল্প তালুক তৈরি হবে তারও তালিকা রয়েছে ইস্তাহারে। ৪টি মেগা ফুড পার্ক, ১০টি ছোট ফুড পার্ক, একটি চা পার্ক, ২টি সি ফুড প্রসেসিং পার্ক, তাঁত শিল্পের উন্নতিতে ৪টি বস্ত্র হাব ছাড়াও ১টি হস্ত শিল্প কেন্দ্র গঠন করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এ ছাড়াও ২ টি চামড়া শিল্প উদ্যান, ১টি লৌহ ইস্পাত শিল্প উদ্যান, ১টি জুয়েলারি শিল্প উদ্যান, ১টি ফার্মা পার্ক, ১টি ইলেকট্রনিক্স এবং সেমিকন্ডাক্টর শিল্প উদ্যান এবং ১টি অটো শিল্প পার্ক স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। বাংলার পাট শিল্প পুনরুজ্জীবনের জন্য ১,৫০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের আশ্বাসও দিয়েছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy