প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি-র মতো এবার চায়ে চর্চায় তৃণমূল। সেই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করলো বিজেপি। বলল, এতে চা দোকানির বিক্রি বাড়বে কিন্তু তৃণমূলের কোনো লাভ হবেনা।
বিজেপির দেখানো পথে হেটে এবার বিজেপিকে মাত করতে আসরে নামলো তৃণমূল। জলপাইগুড়ি বিধানসভায় এবার তৃনমূলের নতুন স্লোগান ‘চলো ডাক্তার চায়ের দোকানে যাই’। বুধবার সকালে এক অন্য ছবি দেখা গেলো জলপাইগুড়ি শহরে। এই বিধানসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী ডাক্তার প্রদীপকুমার বর্মা রাস্তায় প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন যুব তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় ও অন্যান্য তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
রাস্তায় হেঁটে পথ চলতি মানুষের সাথে কথা বলতে বলতে তারা রেসকোর্স পাড়ায় চলে আসেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দা ও কর্মীদের সাথে একটি চায়ের দোকানে আড্ডায় বসেন তাঁরা। চা খেয়ে চলে দীর্ঘক্ষণ আলাপচারিতা।
যুব তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৈকত বলেন, ‘‘এবা র আমরা এই বিধানসভায় চলো ডাক্তার চায়ের দোকানে যাই এই স্লোগানকে সামনে রেখে ময়দানে নেমেছি। আমাদের প্রার্থী একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক। তিনি শহরের অত্যন্ত পরিচিত মুখ। এই আসন আমরা জিতছি।’’
তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ কুমার বর্মা বলেন, ‘‘সকাল সকাল বেরিয়ে প্রচার শুরু করে দিলাম। চা দোকানে সকাল বেলা প্রচুর মানুষ আসেন তাদের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরার পাশাপাশি নিজের প্রার্থী হবার বিষয়টি তুলে ধরলাম।’’
বিজেপি-র চায়ে পে চর্চার পথে আপনি কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘চায়ের দোকানে আড্ডা মারায় তো কারও পেটেন্ট নেওয়া নেই। আর সকাল বিকাল প্রচুর মানুষ পাড়ার দোকানে চা খেতে আসে। তাই এই দোকানে আসা।’’ ঘটনায় বিজেপি নেতা শ্যাম প্রসাদ বলেন, ‘‘এ আর নতুন কি। তৃণমূল এই ভাবেই সরকার চালাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প নাম পালটে এই রাজ্যে চালাচ্ছে। চায়ে পে চর্চা এটা আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি। এ বার সেটাকে ভোটের মুখ চুরি করে এবার তৃণমূল নেতারা চায়ের দোকানে তাদের প্রার্থীকে নিয়ে যাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy