প্রতীকী ছবি।
কোভিড পরিস্থিতিতে হাওড়া শহরের গণনা কেন্দ্রগুলির সামনে কোনও রাজনৈতিক দলকেই জমায়েত করতে দেবে না পুলিশ। করা যাবে না কোনও শিবিরও। এর জন্য আগামী ২ মে ভোট গণনার দিন প্রতিটি গণনা কেন্দ্রের সামনে এসিপি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী গণনা কেন্দ্রের ভিতরে যাতে কোভিড-বিধি মানা হয়, তা নিশ্চিত করতে একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। গণনা কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে প্রতিটি কেন্দ্রে থাকছে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
হাওড়া সিটি পুলিশ এলাকায় যে পাঁচটি জায়গায় গণনা হবে সেগুলি হল বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মিশন শিক্ষামন্দির, হাওড়া ময়দানের সেন্ট টমাস চার্চ স্কুল, শিবপুরের আইআইইএসটি, সাঁকরাইলের সিকম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং পাঁচলার নয়াচক যদুনাথ হাইস্কুল। বালি, উত্তর হাওড়া, মধ্য হাওড়া, শিবপুর, দক্ষিণ হাওড়া ও সাঁকরাইল— এই ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রের গণনা হবে ওই কেন্দ্রগুলিতে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গণনা কেন্দ্রের ভিতরে নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। বাইরে থাকবে রাজ্য পুলিশ। গণনা কেন্দ্রের সামনে জমায়েত রুখতে প্রতিটি কেন্দ্রে ২০-২৫ জন করে রাজ্য পুলিশের আধিকারিক এবং ৫০ থেকে ৬০ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন। গণনা কেন্দ্র চত্বরে নজরদারি চালানোর জন্য পুলিশের মোটরবাইক মোবাইল-দলের পাশাপাশি থাকবে আরটি ভ্যান এবং হাই রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড (এইচআরএফএস)।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘গণনা কেন্দ্রের বাইরে যাতে কোনও জমায়েত না হয়, তা নিশ্চিত করতে কড়া নজরদারি চলবে। সে কারণেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, জমায়েত রুখতে কেন্দ্রের কতটা দূরে প্রথম বা দ্বিতীয় ব্যারিকেড করা হবে, তা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের অবস্থান দেখে ঠিক করেছেন রিটার্নিং অফিসারেরা ও পুলিশকর্তারা। কিছু জায়গা পরিদর্শনও করে এসেছেন জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার।
ওই আধিকারিক বলেন, ‘‘কোভিড পরিস্থিতিতে গণনা কেন্দ্রের সামনে জমায়েত করা যাবে না বলে ইতিপূর্বেই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সেই নির্দেশ মেনেই যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গণনা কেন্দ্রের ভিতরে যে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা আসবেন, তাঁদের প্রত্যেকের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি এজেন্ট এবং গণনা কেন্দ্রে থাকা কর্মীদের মাস্ক দেওয়াহবে। দেওয়া হবে স্যানিটাইজ়ারও। গণনা কেন্দ্রের কর্মী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের মাঝখানে একটি করে নেট দেওয়া হচ্ছে, যাতে গণনার সময়ে কেউ ইভিএমে হাত দিতে না পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy