প্রচারে যশ দাশগুপ্ত এবং মহম্মদ সেলিম। নিজস্ব চিত্র।
হুগলির চণ্ডীতলা বিধানসভাকেন্দ্রে প্রচার শুরু করলেন প্রার্থীরা। বিধানসভা নির্বাচনে যে কেন্দ্রগুলিতে একাধিক ওজনদার প্রার্থী রয়েছেন, তার মধ্যে অন্যতম চণ্ডীতলা। এলাকায় দু’বারের জয়ী বিধায়ক তৃণমূলের সাথী খন্দকারের বিরুদ্ধে এখানে প্রার্থী হয়েছেন সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএমের মহম্মদ সেলিম। আর বিজেপির তারকা প্রার্থী যশ দাশগুপ্ত। লোকসভা ভোটেও এখানে ভাল করেছিল তৃণমূল। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দুঁদে রাজনীতিবিদ সেলিম এবং টলিউড তারকা যশ তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে কতটা ভাগ বসাতে পারেন সে দিকে নজর থাকবে সবার। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীদের প্রচার তাই এই কেন্দ্রে ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্ব পাবে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
রবিবার সকাল থেকেই সেলিম এবং যশ নির্বচনী প্রচার শুরু করলেন এলাকায়। ডানকুনিতে প্রচারের কাজ শুরু করেন সেলিম। রেললাইনের পশ্চিম পাড় থেকে পায়ে হেঁটে স্টেশন ও বাজার রেল ওভারব্রিজের নিচে অটো টোটো স্ট্যান্ডে সাধারণ মানুষ, পথচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। রবিবার দিনভর ডানকুনিতেই প্রচারের কাজ করেন সেলিম।
যশ প্রচার শুরু করেন চণ্ডীতলার গরলগাছা থেকে। মূলত হুড খোলা জিপে রোড শো করেন যশ। তারই মধ্যে ছোটোদের নিজস্বীর আবদারও মেটান তিনি। গরলগাছা থেকে চন্ডীতলা বাজার, নৈটি জনাই হয়ে মনিরামপুরে শেষ হয় প্রচার।তারকা প্রার্থী যশকে দেখতে রীতিমতো ভিড় জমে এলাকায়।
দু’বছর আগে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ভাল ফল করেছিল চণ্ডীতলায়। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়া এই বিধানসভা কেন্দ্র। শ্রীরামপুরে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছিলেন প্রায় ১৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ আকবর আলি খন্দকারের স্ত্রী সাথী চণ্ডীতলায় গত দু’বছরের জয়ী বিধায়ক। তবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখনও সেভাবে প্রচার শুরু করতে পারেননি তিনি। আগামী ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফায় ভোট হবে চণ্ডীতলায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চণ্ডীতলার প্রার্থীরা একে অন্যকে টেক্কা দিতে পারেন যে কোনও মুহূর্তে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy