ভোটের আগে দলে দলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু নীলবাড়ির লড়াইয়ে তাঁদের অধিকাংশকেই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। তবে বিপুল সাফল্য পাওয়ার পরও দলত্যাগীদের প্রতি উদারতা দেখালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরতে চাইলে সকলকেই দলে স্বাগত জানাবেন বলে জানালেন তিনি।
রবিবার ভোটের ফলাফলে তৃণমূলের ধারেকাছেও নেই বিজেপি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন যে ‘ওজনদার’ নেতারা, তাঁদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী, হিরণ চট্টোপাধ্যায় এবং নিশীথ প্রামাণিককে বাদ দিলে কেউই জয়ী হতে পারেননি। বিরাট ব্যবধানে হেরেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, বৈশালী ডালমিয়ারা।
ভোটে বিজেপি-র পরাজয়ের পর তাই তাঁদের তৃণমূলে ফিরে আসা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে কালীঘাটে যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা, সেখানে ‘দলবদলু’দের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করলে মমতা বলেন, ‘‘আসুক না। কে বারণ করেছে! এলে স্বাগত।’’
ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর এখনও ২৪ ঘণ্টা কাটেনি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া কেউ এখনও প্রকাশ্যে জোড়াফুলে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। তবে সেই সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়েও দেওয়া যাচ্ছে না। তবে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল ছেড়ে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা অত্যাচারিত এবং অপমানিত হয়ে এসেছিলেন। মনে হয় না তাঁদের কেউ ফিরে যাবেন।’’
তবে রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের মতে, নির্বাচনী প্রচারে যাঁদের লাগাতার ‘বিশ্বাসঘাতক’, ‘গদ্দার’ এবং ‘আপদ’ বলে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী, তাঁদের আদৌ স্বাগত জানাবেন কি না সন্দেহ রয়েছে। বিশেষ করে একা এতবড় জয়লাভের পর। নেহাত সৌজন্যবশতই তিনি ওই কথা বলে থাকতে পারেন বলেও মনে করছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy