আহত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা নিয়ে সিবিআই তদন্ত দাবি করল বিজেপি। দলের শীর্ষনেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ওই দাবি তুলেছেন। পাশাপাশি, ‘উচ্চপর্যায়ের তদন্ত’ও দাবি করেছে বিজেপি। দলের অন্যতম মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি হোক। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাঁর নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক থাকলে তা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখা উচিত।’’ শমীকের আরও বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর আশেপাশে তখন কেন কোনও পদস্থ পুলিশ অফিসার ছিলেন না বা পুলিশকর্মী ছিলেন না, তা জানার জন্যই তদন্ত দরকার।’’ প্রসঙ্গত, বাংলায় বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর রাজ্যের পুলিশ এখন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের অধীন।
নন্দীগ্রামে ওই ঘটনা ঘটার পরেই যন্ত্রণাকাতর মমতা অভিযোগ করেন, তাঁকে যখন ধাক্কা মারা হয়, তখন সেখানে শুধু তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। কোনও পুলিশকর্মী ছিলেন না। সেখানেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘এটা একেবারেই সহানুভূতি কুড়নোর প্রয়াস। যদি উনি চক্রান্তের অভিযোগ করেন, তা হলে দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হোক। উনি এ ভাবে বিরোধীদের বদনাম করার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশিই, নিজের দিকে সহানুভূতি টানতে চাইছেন। উনি যখন রাস্তায় মিছিলে হাঁটেন, তখন তাঁর ২০০ গজের মধ্যে কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হয় না। মনে হয়, যেন প্রধানমন্ত্রীর মিছিল যাচ্ছে! ওঁর ধারেপাশে যদি কেউ গিয়ে থাকেন, তা হলে তো সেটা ওঁরই পুলিশের গাফিলতি! সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করালেই সত্য প্রকাশিত হবে। সেটা উনি করাচ্ছেন না কেন।’’
একই কথা বলেছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহও। তাঁর কথায়, ‘‘উনি নাটক করে সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। কারণ, উনি বুঝে গিয়েছেন যে, নন্দীগ্রামে উনি জিততে পারবেন না। তা-ই এসব নাটক করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করার অভিযোগ করছেন!তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে যে সব আইপিএস অফিসাররা ছিলেন, তাঁদের তো সাসপেণ্ড করা উচিত। হারবেন জেনে নাটক করছেন। উনি কোথাও যাওয়ার আগে ২ কিলোমিটর দূর থেকে সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। উনি শুধু শুধু মিথ্যে কথা বলে সহানুভূতি কুড়নোর চেষ্টা করছেন।’’ অন্যদিকে, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের সঙ্গে মেশেন। সেই সুযোগ নিয়ে কেউ যদি চক্রান্ত করে তাঁকে আঘাত করতে চায়, তা হলে তো তিনি অসহায়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy