—প্রতীকী ছবি
ভোটের আগে নেতা-কর্মীদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে বিশেষ নজর দিল বিজেপি।
বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে বিজেপি নেতৃত্ব সম্প্রতি জেলায় জেলায় ভোটমুখী কমিটি গড়ে দিয়েছে। সূত্রের খবর, সেই কমিটি দ্রুত ‘হাইজ্যাক’ করতে চলেছে বিজেপি জেলা কমিটিকে। নির্বাচনী কমিটিতে একটি পদ রাখা হয়েছে, স্বাস্থ্য পরিষেবা ইনচার্জ। এই পদ গেরুয়া শিবিরে নতুন বলেই দাবি। সূত্রের খবর, এ বছর কোভিড পরিস্থিতিতে ভোট হতে চলেছে। আম জনতাকে করোনার টিকাকরণও শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, দলের নেতা-কর্মী যাঁদের টিকা পাওয়ার কথা, তাঁরা পেলেন কিনা, টিকা নিয়ে যথাযথ প্রচার হল কিনা সেটাই দেখবে এই কমিটি। ভোটবিধির গেরোয় টিকার কৃতিত্ব নিয়ে রাজনৈতিক প্রচার চালানো সম্ভব নয়, তাই গোপনে প্রচার চালাতেই স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য পৃথক সেল গঠন করেছে বিজেপি। জেলা নেতারা অবশ্য সরাসরি এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে চাননি।
বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “প্রতি জেলাতেই আমাদের ২৩ জনের কমিটি গড়া হচ্ছে। জলপাইগুড়িতেও সেই প্রস্তুতি বা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।” ২৩ জনের কমিটিতে রয়েছেন প্রবাস ইনচার্জও। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের জন্য একজন কেন্দ্রীয় প্রবাস ইনচার্জ বেছে দিয়েছে বিজেপির রাজ্য কমিটি। প্রবাল হারাকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড সভা শেষ হলেই প্রবালবাবু উত্তরবঙ্গে চলে আসবেন বলে খবর। এই প্রবাস ইনচার্জদের দায়িত্ব বিধানসভা ভোটে বাইরে থেতে যত নেতা-মন্ত্রী আসবেন তাঁরা কোথায় কবে প্রচার চালাবেন, কোথায় রাত্রিবাস করবেন তার ব্যবস্থা করা। বাইরে থেকে আসা নেতারা যদি কোনও গোষ্ঠী রাজনীতিতে না জড়িয়ে পড়েন তাও প্রবাস ইনচার্জকে নজরে রাখতে হবে।
গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, প্রতি বিধানসভার বাইরে থেকে আসা নেতা-মন্ত্রীর সংখ্যা কুড়ির কম হবে না। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই সংখ্যা একশোও ছাড়াতে পারে। এই নেতাদের কেউ আসবে এ রাজ্যেরই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, কেউ আসবেন ভিনরাজ্য থেকে। বিপুল সংখ্যক নেতা-মন্ত্রী এলাকার বাইরে থেকে প্রচারে আসবেন এবং তাঁদের ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে নজরদারি চালাতেই আলাদা সেল গড়েছে বিজেপি। ভোট পর্যন্ত প্রতি বুথে বুথে প্রধামন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ শোনাবে বিজেপি। তার জন্য আলাদা সেল গড়েছে বিজেপির ভোট কমিটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy