দাদা, ছেলে, নাতিকে পাশে নিয়ে ফোঁটা নিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
চওড়া করে আসন পাতা। সামনে জিভে জল আনা রকমারি মিষ্টিতে সাজানো খাবারের ডিশ। কাঁসার থালায় চন্দনের বাটি, ধান-দুব্বো। পাশে জ্বলছে ঘিয়ের প্রদীপ। বোনেরা দাদা, ভাইদের মঙ্গল কামনা করে উচ্চারণ করছেন, ‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা...’’। বাঙালির ঘরে ঘরে এই ছবি অতি পরিচিত ভাইফোঁটার দিনে। সময়ে তাতে হয়তো বদল এসেছে। এ বছরে মুখোমুখি বসে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার বদলে অনেকেই বেছে নিয়েছেন ভার্চুয়াল ভাইফোঁটা। ব্যতিক্রম রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বাঙালির চিরন্তন প্রথাকে মান্যতা দিলেন তিন প্রজন্মকে একসঙ্গে বসিয়ে ভাইফোঁটা নিয়ে।
মন্ত্রীর বাড়িতে সকাল থেকেই এদিন উৎসবের আমেজ। পাটভাঙা ধুতি-পাঞ্জাবিতে ধোপদুরস্ত শোভনদেব। দাদা এবং ছেলে সায়নদেবের পরনে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি। নাতি অবশ্য ক্যাজুয়াল ড্রেসে। মাটিতে চওড়া করে কার্পেট বিছানো। তার উপরে বসে তিন প্রজন্ম ফোঁটা নিলেন তাঁদের বোনেদের হাত থেকে। খাবারের ডিশ ধরে নেওয়ার সময় মন্ত্রী উচ্চারণ করলেন সংস্কৃত মন্ত্র, ‘ভ্রাতা স্তবানু যাতাহং.... ’ । উপহারের ঝুলি ফাঁকা ছিল না কারওরই।
ফোঁটা প্রসঙ্গে শোভনদেব জানালেন, ‘‘প্রতি বছরই প্রায় একই আয়োজন থাকে। করোনাকালে বরং সেই বৃত্ত যেন সম্পূর্ণ হল। পাশাপাশি বসে তিন প্রজন্ম--- আমি, দাদা, আমার ছেলে আর নাতি। এর আনন্দই আলাদা।‘’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy